Connect with us

বাংলাদেশ

সাভারে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ

Published

on

সাভারের আশুলিয়ায় ঘরে ঢুকে তিন মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাগর নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাতে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী সাগরকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক সুব্রত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অভিযোগ দায়েরের পর পরই সহযোগিতাকারী সাগরকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের ঠিকানা এখনও  জানা যায়নি।

১১ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে বাইপাইল এলাকার সেলিমের ভাড়া বাড়িতে সাব্বির হোসেন প্রতিবেশী তিন মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর বাসায় গ্যাসলাইট চায়।

Advertisement

গ্যাসলাইট আনতে সাব্বির ওই নারীর বাসায় ঢুকে পড়ে।  এ সময়ে  সাব্বির তার কাছে জিজ্ঞেস করে সে কি রান্না করেছে। অপরদিকে সাব্বিরের সহযোগী সাগর বাহির থেকে দরজা আটকে দেয়। এ সময় সাব্বির ওই ভুক্তভোগী নারীকে বাসায় একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ওই নারীকে শাসায়। পরে সাব্বির সাগরকে দরজা খুলে দিতে বললে সাগর দরজা খুলে দেয়।

বিকালে কাজ থেকে বাসায় ফিরলে ওই নারী তার স্বামীকে সব খুলে বলেন। পরে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির মালিকের স্ত্রী সাব্বিরের সহযোগী আছমা বেগমকে বিষয়টি জানান। এ সময় সাব্বির, সাগর ও আছমা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং এ ঘটনা কেন্দ্র করে রাত ১১টার দিকে তাকে ও তার  স্ত্রীকে বেদম মারধর করে।

এ সময় সাব্বিরের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। পরে ভুক্তভোগী আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী সাগরকে মঙ্গলবার রাতে আটক করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক সুব্রত আরও জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী ওই নারীকে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

মুক্তা মাহমুদ

Advertisement

আইন-বিচার

পি কে হালদারের ২ সহযোগীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

Published

on

ভারতে গ্রেপ্তার পি কে হালদারের সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের তৎকালীন দুই পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জী ও তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জীকে আগামী ৪ জুনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) হাইকোর্টের জামিনের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এর আগে গেলো ৯ মে পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।

জামিনের শর্ত ছিল পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে এবং অনুমতি ছাড়া তারা বিদেশ যেতে পারবেন না। হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৩ মে সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আগাম জামিন স্থগিত করেন।

একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। এই আদেশ সংশোধন ও প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে আসামিপক্ষ।
শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ৪ জুনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

Advertisement

জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করে।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

এমপির লাশ গুমে ব্যবহৃত সাদা গাড়ি জব্দ, গ্রেপ্তার এক

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় এবার আলোচনায় একটি সাদা ক্যাব। যেটিতে করে হত্যার পর মরদেহের খণ্ডিত অংশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। সেই সাদা ক্যাবটি জব্দ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এ হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী সিয়ামকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) পশ্চিমবঙ্গের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ তথ্য জানায়।

সিআইডি সূত্র বলছে, যে গাড়ি আটক করা হয়েছে, সেটি ৩০ এপ্রিল অনলাইন রেন্টালের মাধ্যমে ভাড়া করে আততায়ীরা। সংসদ সদস্য কলকাতায় আসেন ১২ মে। তাকে খুন করা হয় পরদিনই।

এরপর ১৪ মে ওই ভাড়া গাড়ি করে প্রথম পর্যায়ে এমপি আনারের দেহাংশ ফ্ল্যাট থেকে বের করা হয় একটি সুটকেসে করে। জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ির চালক জানিয়েছেন, ১৪ তারিখ এক নারী ও দুই ব্যক্তিকে সুটকেসসহ এক্সেস মলের সামনে নামিয়ে দেন।

অন্যদিকে সিআইডি সিসিভিটি ফুটেজ দেখে জানতে পেরেছে, এক্সেস মলে নামানোর আগে নজরুল তীর্থের কাছে গাড়িটি ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল। সে সময় মরদেহের খণ্ডিত অংশ কোথায় ফেলা হবে, তা নিয়ে মিটিং হয় গাড়ির মধ্যে, এমনটাও জানতে পেরেছে সিআইডি কর্মকর্তারা। এরপর তাদের এক্সেস মলের সামনে নামিয়ে দেন চালক।

Advertisement

তাই সিআইডি’র ধারনা, চালক পুরো বিষয় সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জেনে থাকতে পারেন। কিন্তু তিনি লুকিয়ে যাচ্ছেন কিছু বিষয়। তদন্তের স্বার্থে ওই চালককে আটক করে রেখেছে পুলিশ।

এদিকে, এমপি আনার হত্যার ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। ওই ব্যক্তির নাম সিয়াম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গেলো ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান আওয়ামী লীগ দলীয় এই সংসদ সদস্য। এরপর ১৬ মে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। পরে ১৮ মে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন সংসদ সদস্যের পরিচিত ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এরপর আনোয়ারুল আজীম আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। বুধবার (২২মে) কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে তাকে হত্যার তথ্য জানায় ভারতীয় পুলিশ।

টিআর/

 

Advertisement

 

 

 

 

 

Advertisement

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকবে আরো দুই সপ্তাহ

Published

on

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায়প্রায় এক মাস ধরে সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন গ্রাহকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিকল্প উপায়ে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসিও (বিএসসিপিএলসি)। তবে ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি ফিরতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

বিএসসিপিএলসি বলছে, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়ে। সেখানে মেরামতের কাজ শুরুর প্রক্রিয়াটা দীর্ঘ। অনুমোদন মিলেছে, এখন কনসোর্টিয়ামের জাহাজের অপেক্ষা।

মেরামত শেষে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে আরও দুই সপ্তাহ লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ দেশে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হতে পারে।

জানা গেছে, গেলো ১৯ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার থেকে সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি দেখা দেয়। বিএসসিপিএলসি জানতে পারে সিঙ্গাপুরে জলসীমায় কোথাও ফাইবার ক্যাবল কাটা পড়েছে।

পরে আরও অনুসন্ধানে জানা যায় সিঙ্গাপুর নয়, ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল ‘ব্রেক’ করেছে। এতে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

বিএসসিপিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বলেন, সিমিউই-৫ (দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বাংলাদেশে প্রায় এক হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। সেটা এখন পুরোপুরি বন্ধ। আমরা ওই ব্যান্ডউইথ এখন সিমিউই-৪ দিয়ে সরবরাহের চেষ্টা করছি। কমপক্ষে ৬০ শতাংশ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে। এটা দিয়ে বিকল্প উপায়ে সারাদেশে ইন্টারনেট সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, ‘আশা করছি, চলতি মাসেই কাজ শেষ হবে। জুনের প্রথম দিকে আমরা সিমিউই-৫-এর সংযোগে আবার যুক্ত হবো। এরপর ব্যান্ডউইথ স্বাভাবিক করতে আরও ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা লাগতে পারে। বলা যায়, জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে এটা (ইন্টারনেটের ধীরগতি) ঠিক হয়ে যাবে।’

তবে ক্যাবল কাটা পড়ে সিমিউই-৫-এর সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারণে যে সমস্যা হয়েছিল, তার পাশাপাশি অন্য একটি সমস্যার কথাও জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সভাপতি মো. ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বিটিআরসি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ইন্টারনেট সরঞ্জামের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। এতে অবৈধ অনেক আইএসপি প্রতিষ্ঠান, অনেকে ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট সংযোগ চালায়, তাদের যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে। ক্যাবল অপারেটরদের ইন্টারনেট সার্ভিস দেওয়ার কথা না। তারা দিচ্ছে, এ জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছে বিটিআরসি। সবমিলিয়ে ইন্টারনেটের গতিতে এবং সংযোগে প্রভাব পড়েছে। সেজন্যই কিছু এলাকায় বেশি সমস্যা।’

সিমিউই-৫ বন্ধের পর ইন্টারনেট সরবরাহ চলছে যেভাবে

Advertisement

বিএসসিপিএলসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার পাঁচ হাজার জিবিপিএসের বেশি। এর অর্ধেকেরও বেশি প্রায় দুই হাজার ৭০০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) লাইসেন্সের মাধ্যমে আসে, যা ভারত থেকে স্থলপথে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়।

বাকি দুই হাজার ৪০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি। দু’টি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-৪ (সিমিউই-৪) কনসোর্টিয়ামের সদস্য। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়েছিল। এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। এটি প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে থাকে।

অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৫ প্রবেশ করেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হয়ে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এক হাজার ৬০০ জিবিপিএস সরবরাহ করা হয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের ৬০ শতাংশের বেশি ব্যান্ডউইথ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে শিফটিং করা হয়েছে, যা দিয়ে বিকল্প উপায়ে দেশে ইন্টারনেট সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে বিএসসিপিএলসি।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version