Connect with us

খুলনা

১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও স্ত্রী-সন্তান জানেন না বাদলের মৃত্যুর খবর

Published

on

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাদল কর্মকার (৪০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন গত ২৯ জুন। 

ওই দিন বরিশাল মহাশ্মশানে তার সৎকার করা হয়েছে। এর পর ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও তার স্ত্রী সীমা কর্মকার (২৭) জানেন না তার মৃত্যুর খবর। তিনি অপেক্ষায় আছেন স্বামী সুস্থ হলেই বাড়ি চলে আসবেন।

একমাত্র সন্তান সূর্য (১১) অপেক্ষায় রয়েছে বাবা এলেই তার কাছে বায়নার কথা বলার জন্য। তাদের আশা যে আর পূরণ হওয়ার নয়, সেই খবর জানাতে আসবেন মৃত বাদলের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কীভাবে এ খবর জানাবেন আর তাদের সামলে নেবেন, এ জন্য প্রতিবেশীরাও রয়েছেন উৎকণ্ঠায়।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বাদলের শ্যালক উজ্জ্বল কর্মকার জানান, তার বোন সীমা কর্মকার ও ভাগ্নে সূর্য কর্মকারের করোনা পজিটিভ থাকার কারণে তাদের বাদলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। ১২ জুলাই সোমবার সকালে তাদের পুনরায় করোনা পরীক্ষার নমুনা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে জানানো হবে বাদল কর্মকারের মৃত্যুর খবর।

এলাকাবাসী জানান, জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাদল কর্মকারের পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু সামান্য সর্দি-কাশি ও জ্বরকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। এর মধ্যে বেশ কিছু দিন পার হলে বাদলের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। অসুস্থ বেশি দেখে তারা সবাই গত ২৪ জুন শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা করান। তবে  নমুনা পরীক্ষায় বাদলের নেগেটিভ এবং তার স্ত্রী সন্তানের পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

Advertisement

কিন্তু বাসায় বাদলের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। খবর পেয়ে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন একদিন পর অ্যাম্বুলেন্সে করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে করোনা পরীক্ষা দেওয়ার দুদিন পর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ততক্ষণে তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে থাকে। একপর্যায়ে ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাকে ভর্তি করার একদিন পর বাদলের মৃত্যু হয়। ওই দিনই তাকে সৎকার করা হয়।

শরণখোলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন জানান, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রায় ৬০ ভাগ সঠিক পাওয়া যায়। যার কারণে বাদল কর্মকারের রিপোর্ট হয়তো সঠিক হয়নি।

খুলনা

এমপি আজীম হত্যা মামলার আসামি শিমুলের সহযোগী গ্রেপ্তার

Published

on

কলকাতায় ঝিনাইদহ ৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শিমুল ভূঁইয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড সাইফুল আলম মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে জেলার একটি মাছের ঘের থেকে তাকে আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যশোর ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম।

এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, যশোর শহরের রায়পাড়া বাবলাতলা এলাকার একটি মৎস্য হ্যাচারি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সেখানে কয়েকদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।

মফিজুল ইসলাম জানান, সাইফুল মেম্বার যশোরের উদয় শঙ্কর হত্যা, রাকিব হত্যা, সুব্রত হত্যা মামলায় দুটিতে চার্জশিটভুক্ত আসামি ও একটিতে পলাতক আসামি তিনি। আনার হত্যার ঘটনায় অভিযান শুরু করলে সাইফুল আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় নম্বরসহ মোবাইল ফোন ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন

Published

on

ঝিনাইদহের হরিশংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তিনি একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি। ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এ রায় দিলো আদালত।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মিজানুর রহমান এই রায় দেন।

রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল সাজা প্রাপ্ত ফরিদ নিজ গ্রাম সদর উপজেলার নৃসিংহপুরে এক বিচারপ্রার্থী নারীকে মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ওই নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ওই নারীকে বিয়ে করে আবার  তালাকও দেন ফরিদ।

পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে সাময়িক বহিষ্কার করে করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

Advertisement

ঝিনাইদহের আদালত মামলাটি অধিকতর তদেন্তর জন্য ডিএনএ টেষ্ট করার জন্য ঢাকায় পাঠায়। ডিএনএ টেস্টে ফরিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, ফরিদের ড্রাইভারের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় মামলা থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য

উপকূলীয় অঞ্চল ও সুন্দরবনে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালা, বন্যপ্রাণী ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে বেশিরভাগ এলাকা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রিমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হয়ে সুন্দরবন ১০-১২ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। বনের প্রাণীদের আবাসস্থল তলিয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীর ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ঝড়ের পর কটকা ও মোংলার কানাইনগর এলাকা থেকে দু’টি মৃত হরিণ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বনের অভ্যন্তর থেকে ছয়টি ও সংলগ্ন লোকালয় থেকে সাতটি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ কর্মকর্তা বলেন, বনের শতাধিক মিষ্টি পানির পুকুর তলিয়ে লবণ পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া সাগর পাড়ার কটকা, দুবলার চরের ফরেস্ট অফিস ও জেটি ভেঙে যাওয়াসহ বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৭-৮ কোটি টাকার অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

অপরদিকে বনের গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

এর আগে রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সুন্দরবন দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে রেমাল। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলাসহ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন এলাকা। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version