রাজশাহী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনের ভোট কেন্দ্রে ককটেল, সংঘর্ষ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের উপনির্বাচনে জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওদুদ বিশ্বাসের সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন। এ সময় একজন বহিরাগতকে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে বললে দুই প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হাকিমের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটনের হাতাহাতি হয়। দুপক্ষই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ সময় মাঠে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া যায়। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বোমা নিস্ক্রিয়করণ দল এসে ককটেলটি উদ্ধার করে।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পরে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাজশাহী
নওগাঁ সীমান্তে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
নওগাঁর পোরশা সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের (২৭) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টার দিকে হাঁপানিয়া এলাকায় সীমান্তের ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁ-১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে বুধবার দিনভর যোগাযোগ করেন তারা। এরপর সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয় আল আমিনের মরদেহ। এ সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের কেদারি পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার ইন্সপেক্টর সুভাষ চন্দ্র মিনা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গেলো ২৬ মার্চ ভোরে নীতপুর সীমান্ত এলাকায় ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন।
রাজশাহী
বোনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা
মাঝে মধ্যেই সৎ ভাই ও ভাবীর সঙ্গে বোনের ঝগড়া হয় বলে ক্ষিপ্ত হয়ে বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সৎ ভাই শ্রী ফুলবাবু। বোনকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে গোদাগাড়ী উপজেলার গ্রোগ্রাম ইউনিয়নের গোগ্রাম এলাকায় একটি নির্মাণাধীন দুতলা ভবনের বাথরুমের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন।
নিহত ওই তরুণীর নাম সন্ধ্যা রানী (২০)। তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার শীশা বাঁশপীর এলাকার শ্রী হরিলালের মেয়ে। তবে সন্ধ্যা রানী রাজশাহী মহানগরের কর্ণহার থানা এলাকায় সৎ ভাইয়ের বাসায় থাকতেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার শশিবাজার এলাকার হরিলালের ছেলে শ্রী ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২), বাবুর স্ত্রী শ্রীমতি মিনতি রানী (২৩) ও গোদাগাড়ী উপজেলার গ্রামলালপুকুর এলাকার আওয়াল হোসেনের ছেলে আদিল আহমেদ পলক (১৯)।
ওসি আবদুল মতিন জানান, প্রাথমিক অবস্থায় মরদেহ অজ্ঞাতনামা হলেও পুলিশের তদন্তে নিহতের পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, সকালে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ খবর পেয়ে গ্রোগ্রাম ইউনিয়নের মো. মুরসালিন পিয়াসের দুইতলা ভবনের বাথরুমের ভেতর থেকে একটি অজ্ঞাতনামা মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় নিহতের শরীরের পেট ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে আলামত খোঁজার চেষ্টাকালে নিহতের মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহতের পরিচয় জানা ছাড়াও তদন্তে বেরিয়ে আসে আসল হত্যাকাণ্ডের রহস্য। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিদাস বাবু ও আদিলকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানায়, সৎ ভাই শ্রী ফুলবাবু রবিদাস বাবু সন্ধ্যাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত ৯টার পরে যেকোনো সময় সন্ধ্যাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে রবিদাস তার বন্ধু আদিল আহমেদ পলকের সহযোগিতায় অচেতন সন্ধ্যাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে এবং নির্মাণাধীন ভবনের দুইতলায় নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে পলকের দেখানো মতে আলামত হিসেবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।
আবদুল মতিন বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদের ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মূলত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
অপরাধ
রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্টারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম এ মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন রুয়েটের সাবেক উপাচার্য ও বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম শেখ ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং বর্তমানে ইইই বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয় কথা বলার জন্য দুজনকেই ফোন করা হয়। তবে তারা কেউ ফোন ধরেননি। কয়েকদিন আগেই কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সুপারিশের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধানে নেমেছিল। ইউজিসিই প্রাথমিক তদন্তে এই অনিয়ম পায়। মামলা করার পর দুদক একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পারস্পরিক যোগসাজশে অসৎ অভিপ্রায়ে নিজেরা লাভবান হয়ে অন্যদের লাভবান করার জন্য অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গ করে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীদেরকে মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর প্রদান করে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ছয়জন সেকশন অফিসারের স্থলে ১৩ জনকে নিয়োগ প্রদান, জুনিয়র সেকশন অফিসার পদে নিয়োগের অনুমোদন ও শূন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদের বিপরীতে জুনিয়র সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ প্রদান, পিএ টু ভিসি/ডিরেকটর পদে দুইজনকে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও তিনজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ডাটাএন্ট্রি অপারেটর পদে একজনকে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও দুইজনকে নিয়োগ প্রদান, মালি পদে তিনজনকে নিয়োগ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও সাতজনকে নিয়োগ প্রদান, ড্রাইভার পদে একজনকে নিয়োগ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও তিনজনকে নিয়োগ প্রদান এবং সহকারী কুক পদে তিনজনকে নিয়োগ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও পাঁচজনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
এই অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্ত ১৭ জনের ২০২১ সালের জুন মাস থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত বেতন ভাতাদি বাবদ সরকারের মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ১০৯ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাই দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম রাজশাহী বাদী হয়ে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের মে মাসে ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।ওই নিয়োগে তৎকালীন উপাচার্যের আপন দুই ভাই, ফুফাতো ভাই, শ্যালিকা, চাচাতো বোন, গৃহকর্মী ও তার স্বামীসহ আত্মীয়-স্বজনেরা চাকরি পান। তাদের অনেকে লিখিত পরীক্ষায় ফেল করেও চাকরি পান। এর জন্য নম্বরপত্রে কাটাকাটি (টেম্পারিং) করা হয়। রফিকুল ইসলাম শেখের আমলে রুয়েটে মোট ১৩৫ জনের নিয়োগ হয়েছে। এরমধ্যে ১৭ জনের ব্যাপারে দুদকের আপত্তি।
এএম/
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- আবহাওয়া7 days ago
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কবে জানালো নাসা, দিন হবে রাতের মতো
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন