Connect with us

বাংলাদেশ

এবার থানায় হামলা চালাল জঙ্গিরা

Published

on

হামলা

পাকিস্তানের পেশোয়ারের মসজিদে হামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবার বড়সড় হামলা চালাল জঙ্গিরা। এ বার তারা হামলা চালায় পঞ্জাব প্রদেশের মিয়াঁওয়ালি জেলার একটি থানায়।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের সংবাদসংস্থা আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে জঙ্গিদের ২০-২৫ জনের একটি দল মিয়াঁওয়ালি থানা ঘিরে ফেলে। তারপর থানায় ঢুকে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। আচমকা হামলার মুখে পড়েও পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। পাল্টা গুলি চালায় তারাও। দুই পক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই। পাল্টা আক্রমণের মুখে পড়ে থানা ছেড়ে পালায় জঙ্গিরা।

পঞ্জাব পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি) উসমান আনওয়ার জানান, জঙ্গিরা অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে তারা থানার ভিতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মোক্ষম জবাব দিয়েছেন থানার পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীরা। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন জঙ্গি আহত হয়েছে বলে দাবি আইজির। তবে থানায় হামলা চালানোর দায় কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী নেয়নি বলেও জানিয়েছেন আইজি।

উল্লেখ্য, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলা চালায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান জঙ্গিগোষ্ঠী। প্রার্থনার সময় বোমারু জঙ্গি মসজিদে ঢুকে পড়ে। তার পরই বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যাও ১০০-এর কাছাকাছি।

Advertisement

অপরাধ

বেনজীর আহমেদের বিদেশে থাকা সম্পদের খোঁজ করতে তিন দেশে চিঠি

Published

on

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পদের খোঁজ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, (বিএফআইইউ)।

চাকরিরত অবস্থায় প্রভাব ও ক্ষমতা খাটিয়ে অর্জন করা বিপুল সম্পদের সঙ্গে নগদ অর্থ সঞ্চিত রাখতে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের খোঁজও নিচ্ছে বিএফআইইউ।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় নাগরিকত্ব না পেয়েও , ওই দুই দেশে অর্থ পাচার করে ব্যবসা ও অন্যান্য সম্পদ গড়েছেন বেনজীর আহমেদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেসব দেশে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিলাসবহুল নগরী  হিসেবে পরিচিত দুবাইয়েও অর্থ পাচার করে ব্যবসা গড়েছেন বেনজীর আহমেদ। তার নিয়োজিত একাধিক ব্যক্তি দুবাইয়ের ওইসব ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করেন। দুবাইয়ে তার পাঁচ বছরের আবাসিক ভিসার আওতায় মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা রয়েছে।

বেনজীর আহমেদের পরিবারে স্ত্রী জীশান মির্জা এবং দুই মেয়ে যথাক্রমে ফারহিন রিশতা ও তাহসিন রাইসা । তাদের পরিবারের সদস্য ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৩৩টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু ওইসব ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থের পরিমাণ জানতে পারেনি বিএফআইইউ। ধারণা করা হচ্ছে ওইসব ব্যাংক হিসাবে থাকা নগদ অর্থ আগেভাগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে । তবে এসব ব্যাংক হিসাবের কোনোটিতেই উল্লেখ করার মতো নগদ অর্থ না থাকাটাকেও অস্বাভাবিক মনে করা হচ্ছে। সেজন্যই বিএফআইইউ তাদের অনুসন্ধান তৎপরতা চালাচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ-সম্পদ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর হঠাৎ করেই গা ঢাকা দিয়েছেন বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। দুর্নীতি দমন কমিশন আগামী ৬ জুন বেনজীর আহমেকে ও ৯ জুন ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

গেলো ২৩ মে উচ্চ আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৩টি হিসাব জব্দ করার আদেশ দেয়। একই দিন তাদের ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি ক্রোকেরও আদেশ দেয়া হয়।

এরপর পুনরায় গেলো ২৬ মে বেনজীরের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানে চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে সাত হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

Published

on

দেশের ২০ জেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বললেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

রোববার (২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেলো ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ ছাড়া ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি বলেন, আমরা গেলো কয়েকদিন থেকেই দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এখন দুর্যোগ পরবর্তী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পরদিন আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে স্থানীয়দের খোঁজখবর নিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণকার্যে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো- খাদ্যের জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য কেনার জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, দপ্তর-সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার কয়রা, ভোলার চরফ্যাশন এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও জরুরি সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেলো ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রেমাল এলাকা পরিদর্শনের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়া পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

তিনি বলেন, গেলো কয়েকদিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যে সিলেট জেলায় ২০ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫০০ মে. টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। একইভাবে দিনাজপুর জেলায় ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কোনো ব্যক্তি মামলা করলেই ব্যবস্থা: সিআইডি

Published

on

সম্প্রতি শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি মামলা করলে সিআইডি ব্যবস্থা নেবে। জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

রোববার (২ জুন) মালিবাগ সিআইডি হেডকোয়ার্টারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সিআইডি প্রধান বলেন, শুধু মানবপাচার আইনে মামলা নয়, বিদেশ পাঠানোর নামে যারা অবৈধভাবে টাকা আয় করে বিভিন্ন জায়গায় হস্তান্তর করেছে তাদেরকে আমরা মানি লন্ডারিংয়ের আওতায়ও আনব।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে যারা মানবপাচার করে ভুয়া টিকিট বা ভুয়া ভিসা ইত্যাদি দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, অর্থ নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা একদিকে মানবপাচারের মানি লন্ডারিং মামলা এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সিআইডির একটি মানবপাচার সেল আছে। এই সেলটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এবং আমাদের একটি ব্রাঞ্চ আছে এয়ারপোর্টে। যারা রিফ্রেক্টেড হয়, বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশ থেকে রিফ্রেক্টেড হয়, আমাদের রিপোর্ট করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের সব ডাটা সংগ্রহ করি। মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কিন্তু আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি ও আসামি গ্রেপ্তার করি।

Advertisement

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে কি না এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আমরা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। সম্ভবত আমরা দু-এক মাসের মধ্যে এটার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দিয়ে দিব।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version