Connect with us

জাতীয়

কাজী নজরুল ইসলামের অসাম্প্রদায়িক চেতনা অনুপ্রেরণা যোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গভীর মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, শোষণ বিরোধী সোচ্চার কণ্ঠস্বর আমাদের আত্মমর্যাদাশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে অনুপ্রেরণা যোগাবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ‘নজরুল উৎসব’। এ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জেনে অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে নজরুল উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যোক্তাগণ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর সামগ্রিক শিল্পসৃষ্টি শুদ্ধরূপে ধারণ, রক্ষণ ও পরবর্তী প্রজন্মকে এই অমূল্য সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার হিসেবে সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি তাদের এই মহৎ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। আমি নিশ্চিত যে আমাদের জাতীয় কবির গভীর মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, শোষণ বিরোধী সোচ্চার কণ্ঠস্বর আমাদের আত্মমর্যাদাশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে অনুপ্রেরণা যোগাবে ।

তিনি বলেন, আগামী ৩ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী ‘নজরুল উৎসব’-এর আয়োজন হচ্ছে জেনে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন। একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা হিসেবে বাঙালির আত্মপরিচয় বিনির্মাণের ক্ষেত্রে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তানি দখলদারদের থেকে মুক্তির সংগ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের তেজোদীপ্ত কবিতা, গান ও সাহিত্য আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পথ নির্দেশ করেছে। তার কালজয়ী সাহিত্যসম্ভার নবীন প্রজন্মকেও দেশপ্রেমের গভীর মন্ত্রে দীক্ষিত করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাগরণের কবি নজরুল ইসলামের দর্শন দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর তার নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, তিনি কবি রচিত ‘চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল’ গানটিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর রণসঙ্গীত হিসেবে নির্ধারণ করেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ২৫ মে কবির ৭৩তম জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্যে ২৪ মে তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে এসে নাগরিকত্ব প্রদান করেন এবং তার জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে জাতীয় কবিকে ডি লিট উপাধি প্রদান করে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসে কবির স্বাস্থ্যের অবনতি হলে, রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান তাকে তৎকালীন পিজি হাসপাতাল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এরই মধ্যে স্বাধীনতা বিরোধী খুনিচক্র ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। কবিও হাসপাতাল থেকে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। ১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতীয় কবির কণ্ঠস্বর ‘৪০-এর দশকেই চিরতরে রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে ততদিনে তিনি আমাদের জন্য রেখে যান অজস্র গান, কবিতা ও নানান অগ্নিঝরা রচনার অমূল্য সাহিত্য ভান্ডার। নিপীড়িত মানুষের বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ধর্মমত নির্বিশেষে সকল বাঙালি মিলেমিশে সমতার ভিত্তিতে একটি নতুন সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সাম্যবাদের কবি। সেটাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’-এর ভিত্তি। আমরা জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন,  ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা কুমিল্লায় একটি নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বরাদ্দকৃত কবি ভবনে প্রতিষ্ঠিত কবি নজরুল ইনষ্টিটিউটের জন্য ২টি বেজমেন্টসহ ৯তলা নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আমরা যে ‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে গ্রহণ করেছি- তাও প্রথম উঠে এসেছিল আমাদের জাতীয় কবির প্রবন্ধে ও কবিতায়। আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কিংবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেউই আমাদের মাঝে নেই। রয়ে গেছে তাঁদের আকাংখা এবং স্বপ্ন। আমরা সেটাকে বাস্তবে পরিণত করার পবিত্র ব্রত গ্রহণ করলেই তাঁদের প্রতি যথার্থ সম্মান দেখানো হবে। তিনি ‘নজরুল উৎসব’ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান এবং এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

জাতীয়

বাংলাদে‌শি পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ফি কমাল ভুটান

Published

on

বাংলাদে‌শি পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ফি কমাল ভুটান। দেশ‌টি ভ্রমণে এখন থেকে প্রতি‌দিন বাংলাদে‌শিদের ১৫ মা‌র্কিন ডলার ফি দিতে হবে, যা আগে ২০০ ডলার ছিল। নতুন ফি ২ জুন থে‌কে কার্যকর করা হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) ভুটানের পর্যটন বিভাগের বরাত দিয়ে এ তথ্য জা‌নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভুটান সরকারের পর্যটন বিভাগ জানিয়েছে, দেশ‌টি বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য নীতি সংশোধন করেছে। নতুন নীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশি পর্যটকদের টেকসই উন্নয়ন ফি (এস‌ডিএফ) হিসেবে শুধুমাত্র ১৫ মা‌র্কিন ডলার দি‌তে হ‌বে, যা ভারতীয় পর্যটকদের ওপর আরোপিত ফির সমান।

আগে বাংলা‌দে‌শি‌দের ভুটান ভ্রমণে প্রতি‌দিন ২০০ মা‌র্কিন ডলার ফি দেওয়া লাগত। নতুন নীতিমালার আওতায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক বার্ষিক ১৫ মার্কিন ডলার কম খরচে ভুটান ভ্রমণ করতে পারবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সম্পর্ক আরও সুসংহত হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সরিয়ে নেয়া হচ্ছে শাহবাগ থানা

Published

on

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে শাহবাগ থানাকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে সরিয়ে এই থানার নতুন জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীতে শাকুরা বার অ্যান্ড রেস্তোরাঁর পেছনে। এ সিদ্ধান্তের ফলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে আর বাধা রইল না।

সোমবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এলাকার অভ্যন্তর থেকে শাহবাগ থানা স্থানান্তরের বিষয়টি মন্ত্রিসভার নির্দেশনার জন্য বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে মন্ত্রিসভা এ সিদ্ধান্ত দেয়।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের জন্য থানা স্থানান্তরের প্রয়োজন পড়ে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমঝোতায় আসতে না পারায় বিষয়টি মন্ত্রিসভায় গড়ালে। মন্ত্রিসভা থানা সরিয়ে নেয়ার এই পরামর্শ দেন।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে সরকার

Published

on

দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে সরকার।

সোমবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

এখন থেকে সকাল ৯টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে অফিস সূচি। দুপুর ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে নামাজের বিরতি।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এতথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ঈদুল আজহার ছুটির পর প্রথম রোববার থেকে এই নতুন সময়সূচি কার্যকর হবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version