দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী সপ্তাহে ৩০০ আসনের নির্বাচনি এলাকার সীমানার খসড়া প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে আপত্তি থাকলে সেগুলো নিয়ে শুনানি করে পরে চূড়ান্তভাবে এলাকার সীমানার কথা ঘোষণা করবে সংস্থাটি।
আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন।
সচিব বলেন, গেলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সীমানা যে ছিল তা নিয়ে খসড়া প্রকাশ করা হবে এবং বিজ্ঞপ্তিতে দাবি, আপত্তির জন্য একটা সময় নির্ধারণ করা হবে। সীমানা নিয়ে আপত্তিতে ইতোমধ্যেই নিজ উদ্যোগে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি আবেদন জমা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ইসি সচিব।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে মঙ্গলবার ছিল বর্তমান কমিশনের প্রথম কমিশন বৈঠক। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেসব দাবি, আপত্তি উত্থাপিত হবে এবং এখন পর্যন্ত যেসব আবেদন জমা হয়েছে সবগুলো মিলিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি শেষে বিধি-বিধানের আলোকে চূড়ান্ত বিভক্তি এলাকা ঘোষণা করা হবে।
খসড়া কবে নাগাদ প্রকাশ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খসড়া দ্রুতই প্রকাশ করা হবে। এটা আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই করে দেব। বাস্তবতা এবং আইনের বিষয়টাও তাই। আগে তো মানুষকে জানাতে হবে। তারপর তাদের কোনো আপত্তি থাকলে তার ওপর শুনানি হবে।
সংসদীয় আসনে পরিবর্তন হবে কি-না জানতে তা আবেদনের সংখ্যার ওপরে নির্ভর করবে বলেও জানান সচিব। তিনি বলেন, আমরা আগে খসড়া প্রকাশ করবো। এরপরে আপত্তি আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে বলতে পারবো আসলে কয়টায় (আসনে) কী (পরিবর্তন) হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়ে যেভাবে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে, অর্থাৎ এখন যেটা আছে সেটা দিয়েই আমরা খসড়া প্রকাশ করব। এরপর কারও যদি কোনো আপত্তি থাকে, সেই আপত্তি দাখিল করবে। সব আবেদনের শুনানি হবে। এরপর চূড়ান্ত হবে কয়টা আসনের সীমানা পরিবর্তন হচ্ছে।
জাহাংগীর আলম বলেন, যে আইন আছে, প্রথম হচ্ছে ভৌগোলিক অখণ্ডতা, তারপর আঞ্চলিক অবিভাজ্যতা, তারপর প্রশাসনিক এলাকা, চতুর্থত জনসংখ্যার ঘনত্ব। এ সবগুলোর বিবেচনায় নিয়ে যদি প্রয়োজন হয় সংশোধন হবে। না হলে হবে না।
