Connect with us

তথ্য-প্রযুক্তি

গুগলের ১০০ বিলিয়ন ডলার লোকসান করল চ্যাটবট

Published

on

গুগলের

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার পর অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পায়। ফলে অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও এ খাতে বিনিয়োগ করে। সম্প্রতি এই দৌড়ে শামিল হয় গুগল, মাইক্রোসফট ও বাইদুর মতো প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, একটি প্রচারণামূলক ভিডিওতে গুগলের নতুন চ্যাটবট ‘বার্ড’কে একটি সহজ প্রশ্ন করা হলে এটি ভুল উত্তর দেয়। ফলে গুগলের এই প্রচারণা ব্যর্থ হয় এবং রাতারাতি প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে ১০০ বিলিয়ন ডলার হারায়।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের শেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বে ৯ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে যায়।

গুগল টুইটারে একটি ছোট জিআইএফ ভিডিওর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ করে এবং প্রতিশ্রুতি দেয়, এটি জটিল বিষয়কে সহজ করে তুলতে পারবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই বিজ্ঞাপনেই এক সহজ প্রশ্নের ভুল উত্তর দেয় বার্ড।

বিজ্ঞাপনে বার্ড কে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘আমি আমার ৯ বছর বয়সী সন্তানকে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের কী কী নতুন আবিষ্কার সম্পর্কে জানাতে পারি?’

Advertisement

উত্তরে বার্ড বেশ কিছু সুপারিশ দেয়, যার মাঝে উল্লেখ করা হয় যে এই টেলিস্কোপটি প্রথম বারের মতো পৃথিবীর সৌরজগতের বাইরের কোনো গ্রহের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই তথ্য সঠিক নয়। ২০০৪ সালে ইউরোপিয়ান সাউদার্ন মানমন্দিরের ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ (ভিএলটি) প্রথম বারের মতো এ ধরনের কিছু ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছিল। এই বিষয়টি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা নিশ্চিত করেছে।

গতকাল সকালে গুগলে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে বার্ড বিষয়কে কিছু তথ্য উপস্থাপন করে। তারা জানায়, তাদের সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে এই প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে অবস্থিত গুগলের সদর দপ্তর থেকে লাইভ স্ট্রিম শুরুর অল্প কিছুক্ষণ আগেই বিজ্ঞাপনে বার্ডের ভুল উত্তরের বিষয়টি প্রকাশ পায়। রয়টার্স প্রথম বারের মতো এই ভুল উত্তরটি চিহ্নিত করে।

মাইক্রোসফটের পৃষ্ঠপোষকতায় ওপেন এআই নামের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান চ্যাটজিপিটি সেবা চালুর পর থেকেই গুগল চাপের মুখে আছে। নভেম্বরে এই সফটওয়্যার উন্মুক্ত করার পর থেকেই এটি ভোক্তাদের মুগ্ধ করে চলেছে এবং সিলিকন ভ্যালির সম্প্রদায়গুলোতে এটি প্রশংসিত হয়েছে সহজ প্রশ্নের বিস্ময়কর, নির্ভুল ও সুলিখিত উত্তরের জন্য।

মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে মাইক্রোসফট জানায়, ইতোমধ্যে তাদের বিং সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে চ্যাটজিপিটির কার্যকারিতা যুক্ত করা হয়েছে।

এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে বুধবার মাইক্রোসফটের শেয়ারের মূল্য ৩ শতাংশ বেড়েছে।

Advertisement

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সার্চের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল, এটি কথ্য ভাষায় জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। এক গাদা লিংক দেয়ার পরিবর্তে এ ধরনের সার্চে খুব সহজে এবং অল্প সময়ে কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব।

তবে চ্যাটবট এআই সেবার কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। যেসব ভোক্তা এই সেবাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত, তারা আবিষ্কার করেছেন সার্চ অ্যালগোরিদমে কারসাজি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পছন্দ অনুযায়ী উত্তর দেখানো, সাধারণ কোনো ছবিতে যৌনতার অনুপ্রবেশ অথবা সূক্ষ্মভাবে ‘ডিজিটাল জালিয়াতি’ করা সম্ভব। ২০১৬ সালে মাইক্রোসফট একটি চ্যাটবট চালু করেছিল। কিন্তু এই বট বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করা শুরু করলে দ্রুত একে অকার্যকর করা হয়।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় টুইটারে বার্ডের বিজ্ঞাপনটি ১০ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

তথ্য-প্রযুক্তি

বন্ধ হচ্ছে না ২৮ হাজার মোবাইল সেট: পলক

Published

on

২৮ হাজার মোবাইল সেট বন্ধ করে দেয়া হবে তথ্যটি সঠিক নয়। আমাদের এ ধরনের কোন পরিকল্পনাও নেই। জানালেন ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা, অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে এমপি-মন্ত্রীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাইটগুলো ভেরিফিকেশন প্রয়োজন। তবে কেউ চাইলে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে। গ্রাহক সেবা সঠিকভাবে দিতে না পারলে, লাইসেন্স গাইডলাইনে যেসব সাজার বিধান আছে, তা মোবাইল কোম্পানিগুলোর ওপর প্রয়োগ করা হবে।

জুনায়েদ আহমেদ পলক জানান, দেশে বর্তমানে ১৭টি কারখানায় মোট চাহিদার ৯৭ শতাংশ মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে মোবাইল গ্রাহক ১৯ কোটি ১৩ লাখের বেশি। ইন্টারনেট গ্রাহক ১৩ কোটি ৩৫ লাখ।

তিনি আরও জানান, আগামী ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল উদ্ভাবন: টেকসই উন্নয়ন।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

তথ্য-প্রযুক্তি

অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু

Published

on

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

গেলো ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

এ সিদ্ধান্তগুলো হলো- ১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে ২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না ৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না ৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরণের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোন চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না ৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোন উপায়ে কোন চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না ৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোন ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না ৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং ১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গেলো বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

টিআর/

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

এক দশকের মধ্যে বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন

Published

on

বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যেই  নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে জরুরি এ ডিভাইসটি। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। কথাটা শুনে অদ্ভুত একটা মানসিক ধাক্কা লাগলেও সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।

তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন । কিন্তু আজ থেকে ১০ বা ১৫ বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।

বিজ্ঞানী লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। কল্পবাস্তবের জগতে চলাফেরা করতে কোনো সমস্যাই হবে না। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।

লেকুনই প্রথম এমন বললেন তা নয়। এর আগে নোকিয়ার সিইও পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালেই বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!

উল্লেখ্য, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সাথে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে এই ‘ব্রেন ইন্টারফেস’। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version