আন্তর্জাতিক
পদত্যাগ করলেন মসজিদুল হারামের খতিব ও ইমাম শায়খ শুরাইম
সৌদি আরবের মসজিদুল হারামের খতিব ও ইমাম শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ও বিখ্যাত খতিবদের একজন।
গেলো শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল হারামাইন শরিফাইন। এছাড়াও উম্মিদ নিউজ নামে আরেকটি পোর্টাল থেকেও তার পদত্যাগের খবর প্রকাশ করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর ২০২২ সালের শেষদিকে পদত্যাগ করেন শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম।
খবরে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণের অজুহাত দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম। তবে মসজিদুল হারামের ইমামের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও তারাবি নামাজের ইমাম হিসেবে সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তিনি।
খবরে আরও বলা হয়েছে, শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম তার চুক্তি নবায়ন করতে পারেন এবং বিবেচনার ভিত্তিতে আবারও ফিরে আসতে পারেন।
প্রসঙ্গত, তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম বা পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও এর আগে এ ধরনের ঘটনায় কখনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি জেনারেল প্রেসিডেন্সিকে।
উল্লেখ্য, মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিবদের মধ্যে বিখ্যাত ছিলেন দুজন। তাদের একজন হচ্ছেন শায়খ আব্দুর রহমান আস সুদাইস। অপরজন হচ্ছেন শায়খ ড. সৌদ আল শুরাইম। রমজান মাসে তারা তারাবি নামাজ পড়াতেন।
এশিয়া
যে কারণে ৮ মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস
ব্যবসা ভালো হওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্মীদের ৮ মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। সবশেষ অর্থবছরে সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা অর্জন করায় এ ঘোষণা দেয়া হল।
শুক্রবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে, চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় ধরনের লাভের দেখা পেয়েছে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সিইও গোহ চুন ফং বলেন, তাঁদের সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাদের এই পরিশ্রমের কারণে মহামারির পরও বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস।
আই/এ
আন্তর্জাতিক
দুই পা ছাড়া এক হাত নিয়েই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তৃতীয় লিঙ্গের মডেল
তৃতীয় লিঙ্গের নারী মডেল আউম। পুরো নাম আমবুন আউ মায়খাও। ঈশ্বর জন্ম থেকেই তার দুই পায়ের নিচের অংশ ও এক হাত কেড়ে নিয়েছেন। তবে দমে যাননি তিনি। হার না মানা লড়াকু মনোভাবের কারণেই পেরেছেন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। মিস ট্রান্স থাইল্যান্ড ২০২৩ এর ফাইনালিস্টদের তালিকায়ও ছিলেন এই মডেল।
২০২৩ সালের ২৯ জুলাই থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের মাম্বো এন্টারটেইনমেন্ট হলে অনুষ্ঠিত হয় ওই মিস ট্রান্স থাইল্যান্ড প্রতিযোগিতা। শীর্ষ ২২ ফাইনালিস্টদের তালিকায় ছিলেন বেউং কান প্রদেশ থেকে উঠে আসা সুন্দরী আউম। তার লক্ষ্য ছিলো সেরা দশের তালিকায় থাকা। তবে পরে আর এগুতো পারেননি। ওই প্রতিযোগিতায় সেরা সুন্দরীর মুকুট পরেন সিংবুড়ি প্রদেশের পলি নথায়া।
গ্রান্ড ফিনালের সেরা দশে পৌঁছতে না পারলেও একটি সবার কাছে একটি মেসেজ পৌঁছে দিয়েছেন আউম। জীবনের আসল বিজয় অন্যকে হারানো নয়-এই চিরন্তন সত্যটি সমাজের কাছে তুলে ধরেন এই তৃতীয় লিঙ্গের মডেল।
শারীরিক প্রতিবন্ধী এই নারী মডেল দেখিয়ে দিয়েছেন-আসল বিজয় হচ্ছে-অতীতকে ভুলে গিয়ে বর্তমান অস্তিত্বকে নিয়ে চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
তাইতো আউমের অক্ষমতা তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত করেনি। আউম শিরোপা জয়ের জন্য কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল তা বিচারকরাও টের পেয়েছেন। র্যাম্প মডেলের বেশে সাবলিল ভাবে মঞ্চে ক্যাটওয়াক ও দলীয় নৃত্যপর্বে তার পারফরমেন্স ছিলো চোখে পড়ার মতো।
আউমের অধ্যাবসায় ও ইতিবাচক মনোভাব অনেকের মন জয় করেছে। যারা দুঃখ ও কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আউমের গল্পটি তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। কষ্ট ও বিভ্রান্তির মধ্যে থেকে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য উদাহরণ হতে পারে আউম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের অনেকে আউমের আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ় মনোভাবের প্রশংসা করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অসম্ভব শক্তিশালী! প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ার পর যেসব কষ্ট ও নেতিবাচকতা আউমকে সহ্য করতে হয়েছিল তা কল্পনীয়। তবে আউম নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন, সবকিছু সহ্য করেছেন এবং অবশেষে তার ক্ষমতা নিয়ে যারা সন্দিহীন ছিলো তা ভুল বলে প্রমাণ করতে পেরেছেন।
আরেকজন লিখেছেন- সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাকে আমি সব সময় অস্বস্তিকর বলে মনে করি। কিন্তু এটি এমন এক ধরণের প্রতিযোগিতা যেটি আমাকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। তুমি আগুন জালিয়ে রাখো সুন্দরী।
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় হাত-পা ছাড়া একমাত্র প্রতিযোগি নন আউম। ২০২১ সালে মিস ইকুয়েডর প্রতিযোগি ভিক্টোরিয়া সালসেডোরের নামও জড়িয়ে আছে। ২০০১ সালে পাঁচ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়া বৈদ্যুতিক দুর্ঘনায় আহত হলে জীবন বাঁচাতে তার দুই ও এক কেটে ফেলা হয়।
এমআর//
আন্তর্জাতিক
টোকিওতে সানজা মাতসুরি উৎসবে জাপানিদের ঢল
টোকিওতে হয়ে গেলো জাপানিদের বৃহত্তম ধর্মীয় সানজা মাতসুরি উৎসব।গ্রীষ্মের আগমনের ঘোষণা দেয়া এই উৎসব টোকিও’র আসাকুসা এলাকায় উদযাপিত হয়েছে। রোববার(১৯ মে) খুব সকালে আসাকুসা মন্দির থেকে তিনটি ভ্রাম্যমান মন্দির বয়ে আনা হয়। এরপর, ‘মিকোশি’ নামে ওই বহনযোগ্য মন্দির নিয়ে শহরের বাসিন্দারা বিভিন্ন সড়কে শোভাযাত্রা করেন।
বার্ষিক সানজা মাতসুরি উৎসবে অংশ নিতে শুক্রবার থেকেই হাজারো ভক্ত টোকিওর রাস্তায় ভীড় জমায়। জাপানিদের তিনটি বড় উৎসবের মধ্যে এটি বৃহত্তম হিসেবে বিবেচিত। ঐতিহাসিক সেনসো-জি বৌদ্ধ মন্দিরের তিন প্রতিষ্ঠাতা হিনোকুমা হামানারি, হিনোকুমা তাকেনারি এবং হাজিনো নাকাতোমোর সম্মানে এটি উদযাপন করা হয়।
উৎসবের নিয়ম অনুযায়ি, শনিবার আসাকুসার ৪৪টি জেলা থেকে প্রায় ১০০ মিকোশি জড়ো হয় কামিনারিমনে। তারপর নাকামিসে ডোরি দিয়ে প্যারেড করতে করতে হোজোমনে গিয়ে থামে। সেখানে তারা ধর্মীয় গুরু কাননের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। পরে মিকোশিগুলোকে আসাকুসা মন্দিরে নেওয়া হয়। সেখানে শিন্টো পুরোহিতরা আসছে বছরের জন্য আশির্বাদ ও শুদ্ধ করে।
তিন দিনের ওই উৎসবটি শুরু হয় আসাকুসা জিনজা মন্দিরে। উৎসবের শেষ দিন রোববার কুখ্যাত ইয়াকুজা ক্রাইম সিন্ডিকেটের ট্যাটু করা সদস্যরা আসাকুসা জেলার মধ্য দিয়ে ‘মিকোশি’ নামে পরিচিত তিনটি বড় মন্দির বহন করে নিয়ে যায়। এই মন্দিরে মিকোশিগুলোকে রাস্তায় নামানোর আগে ঐতিহ্যবাহী প্যারেড করেন। এসময় সংগীতশিল্পী, অভিনয়শিল্পী এবং নৃত্যশিল্পীরাও ঐতিহ্যবাহী জাপানি পোশাকে আসাকুসার রাস্তায় অংশগ্রহণ করেন। আর এটি চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
সোনার ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো ও সোনার পাতা দিয়ে আঁকা তিনটি বড় মিকোশির প্রত্যেকটির ওজন প্রায় এক টন। প্রতিটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০ মিলিয়ন ইয়েন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা।প্রতিটি মিকোশিকে চারটি লম্বা খুঁটির ওপরে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মিকোশিকে ৪০ জন লোক বহন করে থাকে।
১৩১২ সাল থেকে চলে আসছে জাপানের এই ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক এই উৎসবে যোগ দিতে টোকিও আসেন।
এমআর//
-
আইন-বিচার5 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট4 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি5 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়4 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
খুলনা6 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
অপরাধ5 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
বলিউড2 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
আইন-বিচার3 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন