Connect with us

অপরাধ

দুই বছরে বিদেশে গেছেন ৬৫ বার

Published

on

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর কাছ থেকে ১১ লাখ ৬৫ হাজার সৌদি রিয়েল জব্দ করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে মিশরে নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে এপিবিএন। 

এপিবিএন জানায়, এ ঘটনায় আটক জাহাঙ্গীর গাজী গুলিস্তানের একজন কাপড় ব্যবসায়ী। দুই বছর ধরে তিনি মুদ্রাপাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। এ সময়ে তিনি ৬৫ বার বিদেশ গিয়েছেন। 

সোমবার (২৬ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এপিবিএন'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউল হক।

তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৬টায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তুরস্কের ইস্তাম্বুল হয়ে মিশরে যাওয়ার কথা ছিল জাহাঙ্গীরের। ফ্লাইটে ওঠার আগে সর্বশেষ চেক পয়েন্টে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে চ্যালেঞ্জ করে এপিবিএন। তার কাছে বৈদেশিক মুদ্রা আছে কি না জানতে চাইলে সে অস্বীকার করে। পরে শরীরে তল্লাশি করে ৫০ হাজার রিয়েল উদ্ধার করা হয়। 

তাকে স্ক্যানিং করে শরীর ও ব্যাগ থেকে ১১ লাখ ৬৫ হাজার সৌদি রিয়েলসহ ৮টি দেশের মুদ্রা পাওয়া যায়। তিনি এসব পাচার করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় আমরা তাকে এপিবিএনের বিমানবন্দরের কার্যালয়ে নিয়ে আসি। সেখানে কাস্টমসসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাকে ভালোভাবে চেক করা হয়। এরপর তার কাছে ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যমানের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়, বলেন মো. জিয়াউল হক।

Advertisement

জাহাঙ্গীরের পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর জানায়, সে রাজধানীর গুলিস্তানে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। গত দুই বছর ধরে ওই ব্যবসা বাদ দিয়ে অর্থপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। 

এপিবিএন'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউল হক বলেন, জাহাঙ্গীরের পাসপোর্ট যাচাই করে এপিবিএন দেখেছে তার পাসপোর্টে মোট পাঁচটি দেশের ভিসা ও ইমিগ্রেশনের ১২৫টি সিল লাগানো আছে। দুই বছরে তিনি ৬৫ বার বিদেশে গিয়েছেন।
 
জিয়াউল হক জানান, জাহাঙ্গীর প্রবাসীদের কাছ থেকে রিয়েল সংগ্রহ করে এবং তা একত্রিত করে পাচার করতেন। এই প্রক্রিয়ায় বিদেশে মুদ্রা গেলে বাংলাদেশ সরকার কোনো রাজস্ব পায় না। কমার্শিয়াল যাত্রীদের লাগেজ বহনের ক্ষেত্রে সরকার কিছু সুবিধা দেয়। জাহাঙ্গীর সেই সুযোগ নিয়েও হুট করে মুদ্রাপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান।

পাচারের এই টাকা কী কাজে ব্যবহার হতো, জানতে চাইলে জিয়াউল হক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, মুদ্রাগুলো মিশরে যাওয়ার কথা ছিল। পরে সেখানে গিয়ে বাল্ক অ্যামাউন্টে সোনা কেনা হতো। সেই সোনাগুলো আবার বাংলাদেশেও আসতে পারতো। এতে দুই দিকেই বাংলাদেশ সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হতো। একদিকে টাকা পাচার হচ্ছে, অন্যদিকে অবৈধভাবে ট্যাক্স ছাড়া স্বর্ণ বাংলাদেশে পাচার হতো।

জাহাঙ্গীরকে বর্তমানে এপিবিএন কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কাস্টমস বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করবে।

Advertisement

অপরাধ

সরকারি লোগো লাগানো গাড়িতে ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার ৪

Published

on

সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোগো লাগানো বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজেরো গাড়িতে ইয়াবা নিয়ে টেকনাফ হয়ে মেরিন ড্রাইভ পার করার পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। মাদক পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে গাড়িটি আটক এবং চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। জব্দ করা হয়েছে সাত লাখ ইয়াবা।

র‌্যাব জানায়,  সোমবার (২০ মে) দিনগত রাতে ওই গাড়িতে করে ইয়াবা পাচারের চেস্টা করছিলো মাদক কারবারীরা। খবর পেয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব । পরে গাড়ি তল্লাশী করে ইয়াবা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিন (৪০) । তার সহযোগী- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৫), তার ভগ্নিপতি নুরুল আবসার (২৮) ও জাফর আলম (২৬) কে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে কক্সবাজারের র‍্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপঅধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।

তিনি বলেন, গ্রেফতার আব্দুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে তারা ইয়াবা পাচারে ওই গাড়ি ব্যবহার করে।

প্রাথমিকভাবে র‌্যাব ধারণা করছে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা রোহিঙ্গা সিরাজ। এই সিরাজের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে মাদক চোরাচালানীরা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

৫ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার ২

Published

on

ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে তৎপর এসব চক্রের সদস্যরা। গাজীপুরে ৪ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট জব্দসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার (১৯ মে) দিবাগত রাতে মহানগরীর গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকুর বটতলা মোড়ের একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গি উপ পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেন উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

গ্রেপ্তাররা হলেন, ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানাধীন পক্ষিয়া এলাকার রুহুল আমীনের ছেলে মো. শিবলু (৩৯)। ও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ছয়গ্রাম এলাকার মোমিন মিয়ার ছেলে মো. রাকিবুল হাসান (২৭)।

পুলিশ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে এসব টাকা ছড়িয়ে দিতে সরব হয়ে উঠেছে এসব চক্রের সদস্যরা। জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি চক্র অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে ওই ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জাল নোট জব্দসহ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্রের সাথে জড়িত আরও ৩/৪ জনের তথ্য দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গাছা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রাজধানীতে প্রকাশ্যে চাপাতি ধরে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪

Published

on

রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রকাশ্যে গলায় চাপাতি ধরে ছিনতাইয়ে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি ও ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল এবং ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে ) সকালে রমনার নিউ সার্কুলার রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আলী, মো. ইমন, আকাশ ও মো. তারেক।

মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী প্রতিদিনের মতো গত শনিবার সকালে সাতমসজিদ রোড দিয়ে ধানমন্ডির অফিসে যাচ্ছিলেন। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে আবাহনী মাঠ সংলগ্ন উত্তর পাশের ফুটপাতে পৌঁছালে, ৪ জন যুবক এসে তাকে অতর্কিত কিলঘুষি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর তার গলায় চাপাতি ধরে একটি মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে অটোরিকশায় করে চলে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের শনাক্ত করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই এই ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের, বিশেষ করে বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর দেয় পুলিশ।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version