Connect with us

রাজশাহী

রামেক হাসপাতালে একদিনে করোনায় মারা গেছে ২১ জন

Published

on

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় ১০ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৭ জন, পাবনার ৫ জন, নওগাঁর ৪ জন, নাটোরের ৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঝিনাইদহের ১ জন করে মারা গিয়েছেন। এনিয়ে রামেক হাসপাতালে করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে ৫৭ তম দিনে মোট ৮৩৭ জনের মৃত্যু হলো।

আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। 

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের দুই ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১৩ জনের আর করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৩ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.৫১%।

এছাড়াও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দফায় দফায় ওয়ার্ড ও শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরেও উপচে পড়ছে রোগীর সংখ্যা। এখানে করোনা ইউনিটে ২০টি আইসিইউসহ শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৫১৩টি এর মধ্যে রোগী ভর্তি রয়েছে ৩৯৯ জন আর গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫৫ জন।

শেখ সোহান

Advertisement

রাজশাহী

পামেকে ছাত্রলীগের হামলা, বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেঁড়ার অভিযোগ

Published

on

পাবনা মেডিকেল কলেজে হল ত্যাগে বাধ্য করতে শিক্ষার্থীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলার সময় ওই শিক্ষার্থীর রুমে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ রয়েছে। গেলো ৯ মে রাত দেড়টার দিকে কলেজের ছাত্রদের জন্য প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু হলের গ্রাউন্ড ফ্লোরের একটি কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের একটি সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ সেশনের নতুন শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট কাটাতে গেলো ৮ মে শিক্ষার্থীদের একটি নোটিশ দেয় হল কর্তৃপক্ষ। এতে পাবনার স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে হল ছেড়ে নিজ বাসা থেকে কলেজে যাতায়াত করতে বলা হয়। একই সঙ্গে হল সুপারদের জন্য বরাদ্দকৃত রুমগুলোতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের রুম ছেড়ে নির্দেশিত অন্যান্য রুমে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। হল সুপারদের জন্য নির্ধারিত তিনটি রুমের একটিতে থাকেন ৫ম বর্ষের ছাত্র কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল কুমার দাশ ও অন্য দু’টি রুমে ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের দু’জন অনুসারী থাকেন।

রাহুল কুমার দাশের অভিযোগ, গেলো ৯ মে রাত দেড়টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক অভিতোষ চক্রবর্তী ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিন্নবী তাহার নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একটি দল রাহুল কুমার দাশের রুমে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং রাহুলকে রুম থেকে বের করে দিতে চায়। এরপর রুমে হামলা চালিয়ে বেড ছুঁড়ে ফেলে, টেবিল ও রুমে থাকা অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করে এবং বই খাতার পাশাপাশি রুমে টাঙানো বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় ভাঙচুরের শব্দে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে তাদের বাধা দিতে গেলে রাহুলসহ তাদের মারধর করে।

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী রাহুল কুমার দাশ বলেন, পরীক্ষা থাকায় আমি সেদিন রুম পরিবর্তন করতে পারিনি। বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। অথচ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন আল তামিমের নির্দেষে অভিতোষ ও তাহার নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে।

ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিলেও এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছবি ছেঁড়ার মত ঘৃণিত কাজও করেছে তারা। ছাত্রলীগের নেতা হয়ে আমার যদি নিরাপত্তা না থাকে, তবে এদের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কিভাবে নিরাপদ?

Advertisement

তিনি বলেন, শুক্রবার কলেজ বন্ধ থাকায় লিখিত অভিযোগ দিতে পারিনি। কলেজ খুললে কলেজ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিবো। তবে হল সুপার ও প্রিন্সিপাল স্যারকে খুদেবার্তায় বিষয়টি জানিয়েছি। আমি এর বিচার চাই, একইসাথে হল ও ক্যাম্পাসে সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা চাই।

প্রত্যক্ষদর্শী ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী হামিম, তানভীর ও তনিম বলেন, মধ্যরাতে ভাঙচুরের শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে দেখি অভিতোষ ও নাহিন্নবী তাহাসহ ৩০-৪০ জন রাহুলের রুমে ভাঙচুর করছে এবং টেনে রাহুলকে রুম থেকে বের করে দিচ্ছে। বের না হতে চাইলে ওকে মারধর করছে। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের কয়েকজনের গায়েও হাত তুলেছে তারা। মধ্যরাতে ছাত্র হলে এমন হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। কলেজ প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি এ হামলার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হোক।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে পাবনা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক অভিতোষ চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সরাসরি দেখা না করে কথা বলতে চান না বলে ফোন রেখে দেন।

এ ব্যাপারে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ আহমেদ বলেন, এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ওরা ব্যাচমেট (অভিতোষ ও রাহুল), যতটুকু জেনেছি একে অপরের সাথে জাস্ট কথা কাটাকাটি হইছে। হামলা, ভাঙচুর বা মারধরের মত কিছু ঘটেনি। এ ঘটনায় আমাদের সংশ্লিষ্টতাও নেই। তবে উভয় পক্ষই যেহেতু আমাদের সংগঠনের তাই কলেজ প্রশাসন ও সিনিয়র নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।

পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. উবায়দুল্লাহ ইবনে আলী জানান, নতুন শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাউকে হল বা রুম থেকে বের করে দিতে কোনো শিক্ষার্থী বা ছাত্রনেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। হল সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে হল সুপাররা রয়েছেন। এখানে অন্য কারোর হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে এক শিক্ষার্থী বিষয়টি জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকি, ঠিকাদারসহ গ্রেপ্তার ২

Published

on

সরকারি ঠিকাদারি কাজে অনৈতিক ও অবৈধ সুবিধা না পেয়ে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগে ঠিকাদারসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার ( ১১ মে ) সকালে তাদেরকে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে  বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

পুলিশ জানায়, গেলো ৮ মে  দুপুরে পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাগণ মিটিংয়ে থাকা অবস্থায় ১৪ থেকে ১৫ জন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর  রুমে ঢুকে অনৈতিকভাবে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ দাবি করেন। দাবি না মানায় নির্বাহী প্রকৌশলীকে গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করেন।

এ ঘটনায় ১০ মে রাতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-পাবনা পৌর এলাকার চক গোবিন্দার চাঁদমারি এলাকার জামাল উদ্দিন তোতনের ছেলে ঠিকাদার রোকনুজ্জামান তুষার ও কালাচাঁদপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আকাশ।

Advertisement

জেড/এস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

পুকুরে মিললো পরিত্যক্ত গ্রেনেড

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খননের সময় মিললো পরিত্যক্ত গ্রেনেড। এ সময় স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে স্থানটি ঘিরে রেখে গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে রাখে পুলিশ। গেলো বুধবার (৮ মে) রাতে ঈশ্বরদী শহরের এমএস কলোনি তিনতলা এলাকায় একটি চলমান পুকুর খননের স্থানে এই গ্রেনেড দেখতে পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমের।

স্থানীয় সূত্র  জানা যায়,  খোকন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী রেলওয়ের জমিতে বেশ কিছুদিন ধরে এমএস কলোনির তিনতলা মাঠে পুকুর খননের কাজ করছে। শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকেলে চলে যায়। এ সময় স্বর্ণা নামের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া এক শিশু বাড়ির পেছনে গিয়ে লাল টেপ মোড়ানো লোহার গোলকের মত একটি বস্তু দেখতে পেয়ে খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর তার বাবা সুবাস কুমার দাস ধলা গোলাকার বস্তুটি দেখেন। পরে এটি গ্রেনেড বুঝতে পারেন তিনি। তখন বিপদের শঙ্কায় গোলাকার বস্তুটি পূর্বের স্থানে রেখে আসেন। এরপর জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।

এ বিষয়ে  ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান,  এলাকাটি পাক বাহিনীর অধ্যুষিত এলাকা ছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় গ্রেনেডটি যেকোনো ভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটি চাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি এখন বের হয়ে এসেছে।

তিনি আরও জানান, গতকাল রাত থেকেই গ্রেনেডটি মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকাটি আম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. সবুজ আলী তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। বোম নিষ্ক্রিয় করার জন্য র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version