উত্তর আমেরিকা
দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় হ্যারি-মেগান দম্পতি
দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় আছে হ্যারি এবং মেগান মের্কেল। রোববার পরিবারের নতুন সদস্যের আগমনের খবর জানায় তাদের মুখপাত্র। ২০১৯ সালের ৬ মে প্রথম মা হন মেগান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান জানায়, হ্যারি-মেগান দম্পতির প্রথম সন্তান আর্চির বয়স এক বছর সাত মাস। গতকাল রোবিবার তাদের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মা হতে চলেছেন মেগান। শিগগিরই আর্চির ভাই বা বোন হতে চলেছে।
ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছে এ খবরে রানী, ডিউক অব এডিনবরা, প্রিন্স চালর্সসহ পুরো রাজপরিবার আনন্দিত। হ্যারি-মেগানকে শুভকামনা জানিয়েছে তারা।
একটি সাদা-কালো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে এই দম্পতি। ক্যাপশনে লেখা; নতুন অতিথির খবরে উদ্বেলিত তারা। অবশ্য কবে সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
এক টুইটে এই দম্পতির বন্ধু এবং ফটোগ্রাফার মিসান হারিমান বলেন, মেগ, এই ভালোবাসার শুরুটা দেখতেই আমি তোমাদের বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। আমার বন্ধু, তোমাদের এই ভালোবাসার বেড়ে ওঠা দেখতে পেরে আমি সম্মানিত। আনন্দের সংবাদটির জন্য ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্সকে অভিনন্দন!
২০১৯ সালের মে মাসে পৃথিবীতে আসে হ্যারি-মেগান দম্পতির প্রথম সন্তান। ছেলের নাম আর্চি হ্যারিসন মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর। আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছায় রাজকীয় পদবি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায় হ্যারি-মেগান দম্পতি। যা নিয়ে রাজপরিবারের সঙ্গে এখনো রেষারেষি কাটেনি।
২০১৮ সালে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে মেগান মারকেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছু দিন রাজপ্রাসাদে থাকে তারা। পরে রাজপরিবার ছেড়ে গেলেও ব্রিটিশ রানির প্রতি দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হ্যারি-মেগান দম্পতি।
এসএন
উত্তর আমেরিকা
পদত্যাগ করলেন বাইডেন প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত সাত মাস ধরে চলছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা। মূলত গাজা নিয়ে মতবিরোধের জেরে প্রকাশ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিবাদে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের আরও একজন কর্মী প্রকাশ্যে পদত্যাগ করেছেন বলে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।
পদত্যাগকৃত ওই কর্মকর্তার নাম লিলি গ্রিনবার্গ কল। তিনি মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের চিফ অব স্টাফের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন বলে বুধবার এপি জানিয়েছে।
লিলি গ্রিনবার্গ কল তার পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, তিনি ‘তার বিবেক ও বিচারবুদ্ধিকে সাথে নিয়ে এই প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করা চালিয়ে যেতে পারেন না’।
আল জাজিরা বলছে, লিলি গ্রিনবার্গ কল নিজেও একজন ইহুদি এবং গেলো বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেসব মন্তব্য করেছেন তারও নিন্দা করেছেন তিনি।
এমনকি ইসরায়েলের অস্তিত্ব ছাড়া ‘বিশ্বে একজন ইহুদিও নিরাপদ থাকবে না’ বলে বাইডেন যে মন্তব্য করেছিলেন তারও নিন্দা করেছেন সদ্য পদত্যাগ করা এই মার্কিন কর্মকর্তা।
সংবাদ সংস্থাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) ইহুদিদেরকে আমেরিকান যুদ্ধযন্ত্রের মুখ বানাচ্ছেন। এবং এটি খুব গভীরভাবে ভুল পদক্ষেপ।’
গেলো বছরের অক্টোবরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণ ও অবরোধে ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি।
টিআর/
উত্তর আমেরিকা
পেরুতে বাস দুর্ঘটনা, নিহত ১৬
পেরুতে একটি বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাসটি ৪০ জন আরোহী নিয়ে আন্দিজ পর্বতের দিকে যাচ্ছিল। সেখানে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশটির পাহাড়ী আয়াকুচো অঞ্চলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
বুধবার (১৫ মে) এএফপির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আয়াকুচোর কর্মকর্তা ওয়াইবার ভেগা সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যেই ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজনের মরদেহ বাসের নিচে আটকা পড়ে আছে। তিনি ওই দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, শিলাবৃষ্টিসহ খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে সময় লাগছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে লিমা থেকে আয়াকুচো শহরের যাওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি উল্টে একটি ঢালে গড়িয়ে পড়ে।
দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে পেরুতে ট্রাফিক দুর্ঘটনায় মোট তিন হাজার ১৩৮ জন প্রাণ হারায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা চালকের দক্ষতার অভাব, ক্লান্তি বা সাধারণ কিছু কারণে হয়ে থাকে।
টিআর/
উত্তর আমেরিকা
ইসরায়েলকে সমর্থনের অভিযোগে মার্কিন সেনা কর্মকর্তার পদত্যাগ
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে। চলমান এ সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় আগ্রাসন চালাতে অতীতে ইসরায়েলে দ্রুততার সঙ্গে অস্ত্রও সরবরাহ করেছে দেশটি। এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন এক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনা কর্মকর্তা সোমবার (১৩ মে) ঘোষণা করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে ওয়াশিংটনের সমর্থনের প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকৃত ওই সেনা কর্মকর্তার নাম হ্যারিসন মান। তিনি মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা।
আনাদোলু বলছে, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা হ্যারিসন মান তার পদত্যাগের চিঠি নিজের লিঙ্কডইনে প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রায় অকুণ্ঠ ও নিঃশর্ত সমর্থন হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও অনাহারে রাখতে ভূমিকা রেখেছে।’
সামরিক বাহিনীতে তার কাজ ‘নিঃসন্দেহে সেই সমর্থনে অবদান রেখেছে,’ বলে উল্লেখ করে মান বলেছেন, ‘এটি আমাকে অবিশ্বাস্য লজ্জা দিয়েছে এবং আমার অপরাধবোধের কারণ হয়েছে। এই নিঃশর্ত সমর্থন সংঘাতের বেপরোয়া বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে যা বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করে।’
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদে মার্কিন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত পদত্যাগ করেন। সেসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেন তিনি।
লিঙ্কডইন পোস্টে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছে। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।’
এর আগে গেলো মার্চ মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার কর্মকর্তা অ্যানেল শেলিন। মধ্যপ্রাচ্যের এই বিশ্লেষক মার্কিন সরকারের পক্ষে মানবাধিকার বিষয়ে প্রচারের পাশাপাশি এই সংক্রান্ত দায়িত্বও পালন করতেন।
শেলিনের পদত্যাগের আগে গেলো বছরের অক্টোবরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরেক কর্মকর্তা জশ পল পদত্যাগ করেন। বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করা ওই কর্মকর্তা ছিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর একজন পরিচালক।
এছাড়া একই কারণে গেলো জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন মার্কিন শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা তারিক হাবাশ। জ্যেষ্ঠ এই মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা, মূল্যায়ন ও নীতি উন্নয়নের অফিসের বিশেষ সহকারি পদে ছিলেন।
গেলো বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
টিআর/
-
আইন-বিচার5 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট3 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি5 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়4 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
খুলনা5 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
অপরাধ5 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
শিক্ষা7 days ago
রাতে মোবাইল ঘাটাঘাটির কারণে ফল খারাপ হয়েছে: অধ্যক্ষ ভিকারুননিসা
-
শিক্ষা7 days ago
এসএসসিতে এবারের সেরা ১০ স্কুল