Connect with us

অন্যান্য

স্কুল শিক্ষকের বেতন নেবেন পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট

Published

on

এখন থেকে ব্যতিক্রমধর্মী এক রাষ্ট্রনায়কের হাত ধরে এগিয়ে যাবে পেরু। বেতন নেবেন স্কুল শিক্ষকের। থাকবেন না বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট প্রাসাদেও। স্কুলের ক্লাসরুম বা ফসলের খেত থেকে ল্যাটিন অ্যামেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান পেদ্রো ক্যাস্তিলোর গল্প হার মানাবে রূপকথাকেও।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, বুধবার কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ৫১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট ক্যাস্তিলো। সারাটা জীবন সাধারণ বেশভূষায় কেটেছে তাঁর। দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম নেন তিনি। গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন ২৫ বছর। স্বল্প আয়ের সংসারে নিজেকেই ঘরের কাজ করতে হয়েছে। গরু চড়িয়েছেন মাঠে। ফসলের খেতে করেছেন হাল চাষও।

শিক্ষকদের ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় জায়গা করে নেন ইউনিয়ন নেতা ক্যাস্তিলো। কিন্তু কখনো জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে যাবেন, তা অনেকের চিন্তায়ও ছিলো না।

আধুনিক সময়ে ক্যাস্তিলোই পেরুর প্রথম প্রেসিডেন্ট যার রাজধানী লিমায় বাড়ি নেই। বুধবার কংগ্রেসে শপথ নেওয়ার পর তিনি ঘোষণা করেন, লিমার বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে থাকবেন না তিনি। পাঁচ শ’ বছর ধরে ক্ষমতার কেন্দ্র ওই ভবনটিকে জাদুঘর বানানো হবে।

পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি পেরুর এমন অংশ থেকে এসেছি যারা শতাব্দীর পর শতাব্দী নিপীড়িত ও বঞ্চিত হয়েছে। এখানে ধনী হতে আসেননি একজন গ্রাম্য শিক্ষক। আমি হাউজ অব পিজারো (প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ)’এ থাকবো না। ঔপনিবেশিক এসব প্রতীকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে না পারলে প্রকৃত মুক্তি আসবে না।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, পেরুর জনগণই পরিবর্তনের রায় দিয়েছে। যারা বৈধভাবে সম্পদ অর্জন করছে তাদের সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু যারা ঘুষ দিয়ে অবৈধ উপায়ে একচেটিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছে তাদের লাগাম টেনে ধরার সময় এসেছে। সামাজিক বিভক্তি থাকতে পারে না পেরুর মতো ধনী দেশে।

খনিজ সম্পদে ভরপুর পেরু। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তামা উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। এরপরও সাড়ে তিন কোটি মানুষের দেশটিতে দারিদ্র আর বেকারত্ব পিছু ছাড়ছে না।

অভিষেক বক্তব্যে খনির কর বাড়ানোসহ অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন পেরুর মার্ক্সিস্ট পার্টি নেতা ক্যাস্তিলো। তাঁর এই ঘোষণায় বেশি অস্বস্তিতে পড়েছে দেশটির রাজনীতি ও ব্যবসা খাতের এলিটরা। ইতোমধ্যে ক্যাস্তিলোকে কট্টর বামপন্থি তকমা দিয়েছে বিরোধীরা।

অবশ্য ক্যাস্তিলো বলছেন, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্ত্রী লিলিয়া পারেদিসকে নিয়ে গ্রামেই ফিরে যাবেন তিনি। তাই শহুরে ধনীদের ভয়ে কাবু হবেন না। স্কুল শিক্ষক হিসেবে যতো বেতন পেতেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ততটুকুই নেবেন বলে জানিয়েছেন পেরুর নতুন এই ত্রাণকর্তা।

 

Advertisement

এসএন

অন্যান্য

রাজকীয় অভ্যর্থনা বলে কথা! প্রেমিকাকে হাঁটালেন টাকার কার্পেটে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

নিজের প্রিয়জন বলে কথা। প্রিয় মানুষের মন জোগাতে কত কিছুই না করে থাকেন প্রেমিক পুরুষরা। আর বিত্তশালী প্রেমিক হলেতো কথাই নেই। নিজের মনের মানুষকে স্বর্গীয় সুখের ভেলায় ভাসাতে  বিলাসিতা আর শখের বসে বিচিত্র কাণ্ড করে বসেন।

এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন রাশিয়ার এক ধনকুবের উদ্যোক্তা কাম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে তাকে  হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে টাকার কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন ওই ধনকুবের। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বেশ পুরোনো।সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক এই রুশ ব্যবসায়ী- উদ্যোক্তার এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নেটিজেনরা রুশ ইনফ্লুয়েন্সারদের এমন ভিডিওর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তারা এটিকে ‘জঘন্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি শেয়ার করেছেন বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাসরত রুশ উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’’ নামেও পরিচিত। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে টাকার বান্ডিল দিয়ে সাজানো কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ ওই ইনফ্লুয়েন্সারের প্রেমিকা হেলিকপ্টার থেকে নামেন।  এরপর তার হাত ধরে তিনি নগদ টাকার স্তূপের তৈরি কার্পেটের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। ভিডিওর ক্যাপশনে ভালোবাসার ইমোজি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুরোনো এ ভিডিওটি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা টাকার কার্পেট ব্যবহারে বিরক্তি জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘সম্পদের কুৎসিত প্রদর্শন করেছেন ওই জুটি।’

নেটিজেনদের অনেকে বলছেন, ‘ভিডিওতে ব্যবহার করা নোটগুলো জাল ছিল। তবে আসলে এগুলো জাল কি না তা স্পষ্ট জানা যায়নি।’

নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, ‘টাকার মূল্য বুঝতে চেষ্টা করুন। তুমি ধনকুবের হতে পারো কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তুমি এভঅবে অর্থ খরচ বা অপচয় করবে। এর পরিবের্তে তুমি শতশত পরিবারের ভাগ্য বদলাতে সহায়তা করতে পারো। অথবা হাজারো ক্ষধার্তর মুখে খাবার তুলে দিতে পারো।’

শেয়ার করা ভিডিওতে ওই রুশ তরুণ ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তার চার কোটিরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

স্ত্রীকে গিলে খেলো অজগর, পেট কেটে বের করলেন স্বামী

Published

on

সংগৃহীত ছবি

গহীন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে  বাজারে যাওয়ার সময়  ফরিদা নামে এক নারীকে জীবন্ত গিলে খেয়েছে  একটি অজগর সাপ। পরে ওই অজগর সাপটিকে ধরে তার পেট  কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ইন্দোনেশিয়ার কালেম্পাংয়ে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার(৬ জুন) বাজারের উদ্দেশে বের হন ফরিদা নামে এক নারী ।  তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানান ফরিদার স্বামী ননি। এরপরই চার সন্তানের মা ফরিদার খোঁজে পরিবারের অন্যসদস্যসহ প্রতিবেশিরা বেরিয়ে পড়েন।

খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার ফরিদার স্বামী ননি বনের মধ্যে একটি গাছের নিচে ২০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ দেখতে পান। এটির পেট অতিরিক্ত ফোলা থাকায় ননির মনে সন্দেহ হয় সাপটি ফরিদাকে জীবন্ত গিলে খেয়ে থাকতে পারে। পরে প্রেতিবেশিরা সাপের পেট কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করে আনেন।

ননি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ ওকে আমি একা বাইরে যেতে দিয়েছি-এটাই আমার আজীবনের দুঃখ। আমি ওর সাথে থাকলে সাপটা  হামলা করার সাহস পেত না।

গ্রামপ্রধান সুয়ার্দি রোসি ডেইলি মেইলকে বলেন, ওই দিন ফরিদা বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে বাড়ি না ফেরায় গ্রামের সবাই তার খোঁজ করতে থাকেন। ফরিদার স্বামী জঙ্গলে খোঁজ করার সময় একটি অজগর সাপ দেখতে পান। ওই সাপটির পেট অস্বাভাবিক ফোলা থাকায় তার মনে সন্দেহ হয়-সাপটি তার স্ত্রীকে হয়তো জীবন্ত খেয়ে ফেলেছে। তার সন্দেহের কথা জানালে সবাই মিলে ওই সাপটিকে ধরা হয় এবং চাপাতি দিয়ে সাপটির পেট কেটে ফরিদার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদার  মরদেহ বাড়ি নিয়ে কবর দেওয়া হয়।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

শচীনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর আত্মহত্যা

Published

on

ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের নিরাপত্তারক্ষী আত্মহত্যা করেছেন। দেশটিতে ভিভিআইপিদের জন্য যে নির্দিষ্ট নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব পালন করে থাকে, সেই দলের অংশ ছিলেন তিনি। নিজের সার্ভিস রিভলবার গলায় ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন এই জওয়ান।

নিরাপত্তারক্ষী এই জওয়ানের নাম প্রকাশ কাপড়ে। ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে নিজের কাছে থাকা রিভলবারটি দিয়ে গুলি চালিয়ে দেন প্রকাশ। তার পরিবারে বাবা-মা, স্ত্রী, দুই সন্তান, ভাই রয়েছেন।

ভারতের মহারাষ্ট্রের জামনের নামক জায়গায় এই ঘটনাটি ঘটে। রাজ্য পুলিশ ফোর্সের একজন সদস্য ছিলেন প্রকাশ। জামনের থানায় দায়িত্বরত থাকা পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ঘটনাটি সংঘঠিত হয়েছে। তবে আত্মহত্যার সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে জানা যায়, ব্যক্তিগত কারণে প্রকাশ এই কাজ করে থাকতে পারেন।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version