আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বিশ্ব বেতার দিবস আজ

আজ বিশ্ব বেতার দিবস। ‘Radio and Peace: বেতার ও শান্তি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় গণমাধ্যম বেতার জনগণের কাছে তথ্য ও বিনোদন পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। সাধারণ মানুষের কাছে বেতার হতে পারে শান্তি ও স্থিতিশীলতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে বেতার একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। স্বাধীন গণমাধ্যম দেশ জাতির কল্যাণ ও মুক্তির আলোকবর্তিকা।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেতারের শ্রোতামণ্ডলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বেতার দেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যম। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গর্বিত উত্তরসূরি বাংলাদেশ বেতার আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনমানুষের তথ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের অন্যতম উৎস। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জনগণকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করতে বাংলাদেশ বেতার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে, এ প্রত্যাশা করি। তিনি বিশ্ব বেতার দিবস-২০২২’ উপলক্ষে নেয়া সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, জনমানুষের কাছে নানা তথ্য পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ বেতার মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মহান মুক্তিযুদ্ধে দ্বিতীয় ফ্রন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল, যা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তি সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রাখে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ তৎকালীন স্বৈরশাসকের বাধা উপেক্ষা করে ৮ মার্চে বেতারে প্রচার মুক্তিকামী বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বাংলাদেশ বেতার নিরলসভাবে এ দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই দেশে প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দেই। আমরা ২০০৯ সাল থেকে গণমাধ্যম, তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন করে তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। বেসরকারি খাতে অনেকগুলো টেলিভিশন, এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের ফলে টেলিভিশন সম্প্রচারে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।

সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ বেতার, প্রাইভেট এফএম এবং কমিউনিটি রেডিও অংশগ্রহণ করছে।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে দুপুর দেড়টায় র‌্যালি। র‌্যালির উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

এছাড়া বিকাল ৪টায় আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নাসরুল্লাহ মো. ইরফানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ Ms. Susan Maree Vize. সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন