পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ
ইসরায়েল অধিকৃত পবিত্র নগরী পূর্ব জেরুজালেমে বসবাসরত ফিলিস্তিনি মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আজ। ফিলিস্তিনিদের করা একটি মামলায় শেখ জাররাহ অঞ্চলে বসবাসরত ৭০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে কি না সে ব্যাপারে শুনানি হবে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুসালেম পোস্ট জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর উচ্ছেদের তৎপরতার বিরুদ্ধে অনবরত বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদ আল-আকসার সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করছে শেখ জাররাহর বাসিন্দাসহ ফিলিস্তিনিরা।
এর আগে মে মাসে শেখ জারাহ অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের নির্দেশনা দেয় নিম্ন আদালত। ওই সময় সিদ্ধান্তটির প্রতিবাদে ইসরায়েল-হামাস উভয়পক্ষের মধ্যে ১১ দিনের যুদ্ধের ঘটনায় বিয়ষটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আসে।
ওই সময় কট্টর ও উগ্রপন্থি ইহুদিরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় শেখ জাররায় উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গেলে এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে মানবাধিকার কর্মীসহ সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখে পিছু হটলেও ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় ও হামলা চালায় ইসরায়েল।
শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় আল-আকসায় মুসল্লিদের ওপর বর্বরতা চালায় উগ্রপন্থি ইহুদিরা। এতে যুদ্ধে জড়ায় হামাস। ফিলিস্তিনি আবাসিক এলাকাগুলোতে নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে নারী, শিশুসহ ২৭০ নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরে এ ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
নাহালাত শিমন কোম্পানির মাধ্যমে শেখ জাররাহ থেকে আরব পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা নেয় ইসরায়েল। আরবদের শেখ জাররাহ থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে ইহুদিদের জন্য বসতি নির্মাণ করতে চায় নাহালাত শিমন কোম্পানি।
ফলে আজকের মামলাটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
এদিকে, অঞ্চলটিতে উচ্ছেদ বন্ধ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ। ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করা হলে তা যুদ্ধাপরাধের সামিল হবে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান।
এসএন