আর্কাইভ থেকে জাতীয়

ঐতিহ্যগতভাবে রুগ্ণ, ভঙ্গুর রেল ব্যবস্থা পেয়েছি: রেলমন্ত্রী

একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে রেলওয়ের উন্নয়নে কাজ হচ্ছে। রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা একটি রুগ্ণ, ভঙ্গুর রেল ব্যবস্থা পেয়েছি, সেখান থেকে রেল খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বললেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে ছয়টি যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ওপর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজের লক্ষ্যে কনসালটেন্সি সার্ভিস নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে একটি নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে যাচাইকরণ ও বিস্তারিত নকশা তৈরি, নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা/লাকসাম রুটে কর্ড লাইন নির্মাণ করা হবে। এটি নির্মিত হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ৯১ কিলোমিটার কমে যাবে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-তারাকান্দি-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরকরণ প্রকল্পসহ মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরির লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সারাদেশের রেল যোগাযোগকে একগেজে রূপান্তর করার। এ লক্ষ্যে সব মিটারগেজ পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।

অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন