আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

অশান্ত শান্তই বেশি টাকার মালিক, আর কে পেলেন কতো টাকা  

বিপিএল। প্রতি আসরেই এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে শুরু থেকে শেষ অব্দি থাকে নানা আলোচনা সমালোচনা। এ বছরেরও ছিল না ব্যাতিক্রম। ক্রিকেটাররা একাধিকবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেছেন, অসন্তোষ হয়ে মেজাজ হারিয়েছেন মাঠেই করেছেন দুর্ব্যবহার, গুনেছেন জরিমানা, জুটেছে ডিমেরিট পয়েন্টও।

নবম আসরের সব থেকে বড় চমক নাজমুল হোসেন শান্ত। জাতীয় দলের হয়ে একের পর এক সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি শান্ত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে তাকে করা বুলিং, স্বীকার করেছেন নিজেই। সবশেষ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়র ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়ে মাঠেই হারিয়ে ফেলেন মেজাজ, শাস্তি পেয়ে এসেছিলে আলোচনায়। এর আগেও আউট হয়ে হেলমেট মাটিতে ছুঁড়ে দিয়েও পেতে হয়েছে শাস্তি। অথচ সাকিব নাসিরদের পিছনের ফেলে সব থেকে বেশি পুরস্কার অর্জন করলেন অশান্ত হয়ে ব্যাট চালানো শান্ত।

৫১৬ রানের মালিক হয়ে পেয়েছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের ৫ লাখ টাকা পুরস্কার। বিপিএলে এক আসরে শান্তর থেকে বেশি রান নেই কোন ব্যাটারের। এখানেই শেষ নয়, জোর দাবিদার সাকিব আল হাসানকে হটিয়ে নিজের করে নিয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কারের ১০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ১৫ লাখ টাকা শুধু তার।

অন্যান্য পুরস্কার অর্জনের ক্ষেত্রেও ছিল দেশি ক্রিকেটারদের দাপট। আসরের সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট শিকার করে যৌথ ভাবে ৫ লাখ টাকা পেয়েছেন তানভীর ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। সেরা ফিল্ডারের পুরস্কারের পাশাপাশি তিন লাখ টাকা জিতেছেন মুশফিকুর রহিম।

দেশিয়ো দের দাপটের দিনে একমাত্র বিদেশি হিসেবে ফাইনল ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার জনসন চার্লস। কুমিল্লার শিরোপা জয়ে অন্যতম অবদান রাখায় পেয়েছেন ৫ লাখ টাকার পুরস্কার।

বিপিএলে প্রথম বারের মতো সিলেট স্ট্রাইকারসকে ফাইনালের তোলার কৃতিত্ব ম্যাশের। ফাইনালে হেরে গেলেও রানার আপ দল হিসেবে ম্যাশেদের হাতে উঠেছে ১ কোটি টাকা পুরস্কার। আর ফাইনাল ট্রফি হাতে তোলার পাশাপাশি ২ কোটি টাকার চেক হাতে উঠেছে কুমিল্লার।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন