আর্কাইভ থেকে এশিয়া

ইসরায়েলের যে কোন হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে: হিজবুল্লাহ

ইসরায়েলের যে কোনও হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। চলতি সপ্তাহে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে শনিবার গোষ্ঠীটির মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, ইসরায়েলি বিমান হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। জানিয়ে সতর্ক করেছে ইরান সমর্থিত

ইরানি গণমাধ্যম পার্স টুডে জানায়, লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলা নিয়ে শনিবার টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চাই না। আমরা যুদ্ধে জড়াতে চাচ্ছি না। তবে প্রস্তুত আছি।

গেল কয়েক দিনে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা বেড়েছে। নাসরুল্লাহ বলেন, শত্রুদের বলছি, লেবাননে যে কোন হামলা হলে তার জবাব দেওয়ার অধিকার রাখি। নিজেদের জনগণ এবং দেশের স্বার্থে প্রতিক্রিয়া দেখাবে লেবানন।

ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠার পর ভাষণে নাসরুল্লাহ বলেন, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা যেমন ইহুদিবাদী শত্রুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত, তেমনি তাদের অস্ত্রভাণ্ডারও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সমৃদ্ধ। ১৫ বছর আগের তুলনায় হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার এখন অনেক বেশি সমৃদ্ধ এবং এই সংগঠনের কাছে এমন বহু ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র আছে যা দিয়ে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা সম্ভব।

নাসরুল্লাহ আরো বলেন, ২০০৬ সালের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গেল ১৫ বছরে লেবাননের মাটিতে হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়নি তেল আবিব। হিজবুল্লাহ নেতা বলেন, তার সংগঠনের সামরিক শক্তিই এতদিন ইসরায়েলকে লেবাননে হামলা চালানো থেকে বিরত রেখেছে। 

গেল বৃহস্পতিবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা শুরু করে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। তেল আবিবের দাবি, প্রতিবেশী দেশ থেকে টানা দ্বিতীয় দিনের রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযান চালানো হয়েছে। যেসব স্থান থেকে রকেট হামলা হয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো রয়েছে সেসব স্থানে বিমান হামলা চালানো হয়।

বিমান হামলার জবাবে রকেট ছোড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের কট্টর গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। উভয় দেশের বিতর্কিত শিবা ফার্মস এলাকায় ইসরায়েলি অবস্থানে রকেট ছোড়া হয়।

২০০৬ সালে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ইসরায়েল। ৩৩ দিনব্যাপী যুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয়ী হয় সশস্ত্র গোষ্ঠিটি। ওই যুদ্ধের পর থেকে বেশিরভাগ সময় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত নীরবই থেকেছে। তবে দীর্ঘ ১৫ বছর পর গেল বৃহস্পতিবার প্রথম লেবাননের কয়েকটি গ্রামে বিমান হামলা চালায় ইহুদিবাদী ইসরায়েল। বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত ফসফরাস বোমার আগুনে পুড়ে যায় লেবাননের ফসলের ক্ষেত।

এর আগে বিভিন্ন সময় কামানের গোলা ছোড়ার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর আধিপত্য রয়েছে।

হিযবুল্লাহ প্রধান আরো বলেন, ফিলিস্তিনের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর সামরিক শক্তি বেড়ে যাওয়ায় নিজের অবৈধ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় রয়েছে ইসরায়েল। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ইহুদিবাদীরা নিজেদের বিপদ ডেকে আনতে না চাইলে যেন লেবাননে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন