আর্কাইভ থেকে জাতীয়

আগের রূপে ফিরেছে রাজধানী

আবারও অনেকটা আগের রূপে ফিরেছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। 

আর্থসামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে, শর্ত-সাপেক্ষে কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ উঠিয়ে প্রায় সবকিছুই খুলে দেয়া হয়েছে। কেবল গণপরিবহন চলাচল করবে অর্ধেক। তবে সবকিছুই করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে চলবে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। 

শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। আর হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসনে বসে খাওয়া যাবে, সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। অর্ধেক গণপরিবহন চললেও ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।

সর্বশেষ জারি করা প্রজ্ঞাপনে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনাগুলো হলো-

১. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। 

২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। (১১ আগস্ট থেকে ভার্চুয়ালি হাইকোর্টের সবগুলো বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশ ক্রমে রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে)

৩. সড়ক রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন-যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর-সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

৪. শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে।

৫. সব ধরনের শিল্প-কারখানা চালু থাকবে।

৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন