আর্কাইভ থেকে এশিয়া

কাবুলের দ্বারপ্রান্তে তালেবান, আতঙ্কে পালাচ্ছে মানুষ

ধারণার চেয়ে দ্রুত গতিতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে তালেবানরা। শুক্রবার কাবুল থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে লোঘার প্রদেশের রাজধানী পুল-ই-আলম দখলে নেয় সশস্ত্র গোষ্ঠিটি। দখল করে দ্বিতীয় বড় শহর কান্দাহারও। এছাড়াও তৃতীয় বড় শহর হেরাতসহ দেশটির ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর ১৮টিই এখন তালেবানদের দখলে। বড় বড় শহর দখলকে তালেবানের সামরিক বিজয় হিসেবে ধরা হচ্ছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বলছে, এখন রাজধানী কাবুল দখলের পথে এগোচ্ছে তালেবানরা। সামরিক আগ্রাসনে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে অনেক বেসামরিক নাগরিক। আশ্রয়ের জন্য কাবুলের দিকে ছুটে যাচ্ছে তালেবানের দখলে যাওয়া প্রদেশগুলোর মানুষ। কারণ, কাবুলই এখন সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। জীবন বাঁচাতে নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে শরণার্থী শিবিরেও আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু।

এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ থামাতে তালেবানকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস। আফগানিস্তানের প্রতিবেশীদের সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দেশটিতে মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে শঙ্কা জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। সংস্থাটি বলেছে, আফগানিস্তানে খাদ্য মজুদের অবস্থা ভয়াবহ।

গেল মাসে মার্কিন গোয়েন্দারা জানিয়েছিলো, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ছয় মাসের মধ্যে কাবুল দখল করতে পারে তালেবান। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের বেশিরভাগ স্থানের শাসন পরিচালনাকারী তালেবানের ক্ষিপ্র গতিতে অগ্রসর হওয়া দেখে হতবাক হয়েছে আফগান সরকার ও তার মিত্ররা।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গেল বুধবার যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ৯০ দিনের মধ্যে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে নিতে পারে তালেবান। এর মধ্যেই গজনি ও হেরাত দখলের খবর পাওয়া গেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে আফগানিস্তানের ৬৫ শতাংশ দখলে নিয়ে ফেলেছে তালেবান।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে গেল এক মাসের সংঘাতে নিহত হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ। এক আগস্ট থেকে অন্তত চার হাজার ৪২ জন সাধারণ মানুষ আহত হওয়ার খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন