আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

`অখণ্ড ভারত’ মানচিত্রে বাংলাদেশকে যুক্ত করে বিজেপি নেতার পোস্ট

ভারতের মানচিত্রে বাংলাদেশকে যুক্ত করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই রাজনীতিবিদের এমন পোস্টে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমনকি তাকে নেটাগরিকদের হাসির খোরাক হিসেবে অভিহিত করেছে ভারতের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই মুহূতে জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কথিত অখণ্ড ভারত দিবস উপলক্ষে একটি পোস্ট করেন দিলীপ ঘোষ। পোস্টে এক অখণ্ড ভারতের মানচিত্র দিয়েছেন তিনি। মানচিত্রের ওপরে লেখা, কাশ্মীর হতে কন্যাকুমারী, গান্ধার হতে ব্রহ্মদেশ, এই তো মোদের ভারতবর্ষ এই তো মোদের পূণ্যদেশ। নিচে লেখা, আজ ১৪ আগস্ট অখণ্ড ভারতের সংকল্প দিবস, শপথ নেওয়ার দিন।

১৮ ঘণ্টায় দিলীপের পোস্টে প্রায় সাড়ে আট হাজার রিয়াক্ট পড়েছে। পোস্টটি শেয়ার করেছে ৪৩২ জন। আর এতে মন্তব্য করেছে ৭শ’র বেশি মানুষ।

ওই পোস্টের নিচে উপহাস করে সপ্তর্ষি দত্ত লিখেছেন, আরে, আরে মশাই আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, আর চীন ছেড়ে দিলেন কেন? .ওদেরও মানচিত্রে অন্তর্ভূক্ত করুন।

আরও এক কাঠি সরেস হয়ে শুভম পাল নামে একজন লিখেছেন, দাদা বলি মানচিত্রটাকে টেনে টুনে কাতার অব্দি নিয়ে যান। আগামী বছর দেশে বসে লাইভ বিশ্বকাপ খেলা দেখতে পারব।

অভিজিৎ শীল নামে এক নেট নাগরিক লিখেছেন, এসব উল্টাপাল্টা জিনিস বললে মানুষ কিন্তু পাগল বলতে পারে। যদি কোনো দেশ স্বেচ্ছায় ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চায় তবে তা সংবিধান অনুযায়ী হতেই পারে। কিন্তু এ রকম করে প্রতিবেশী বন্ধু দেশগুলোকে চটাবার কোন দরকার নেই বলে মনে করি।

মজার ছলে রাজদীপ বিশ্বাস রুদ্র লিখেছেন, আর দিলুদা, অ্যামেরিকাটাও অখণ্ড ভারতে টেনে নিন। আদি অ্যামেরিকানরা ছিল রেড ইন্ডিয়ান। ইন্ডিয়ান মানেই তো ভারতীয়। প্লিজ দিলুদা, কান্দাহারে গিয়ে তালিবানদের এটা বুঝিয়ে আসুন।

কামরুল ইসলাম মোল্লা লিখেছেন, তাহলে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, শ্রীলঙ্কার মানুষের এনআরসি করে বাদ দেওয়ার দরকার নেই। অনেক খরচ বেঁচে যাবে, আর সেই টাকাতে সিএএ করে সবার নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত।

চৌকিদার রিক লেখেন, শুধু গান্ধার থেকে ব্রহ্মদেশ নয়, হাওড়ার বালি থেকে ইন্দোনেশিয়ার বালি অবধি অখণ্ড ভারতবর্ষ চাই দাদা।

এদিকে এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই মুহূতে লিখেছে, তিনি মানেই নেট নাগরিকদের হাসির খোরাক। কখনও গরুর দুধে সোনা খুঁজে পান, কখনো আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহুল প্রশংসিত কন্যাশ্রী প্রকল্প ব্যঙ্গ করতে গিয়ে কন্নাশ্রী লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দেঁতো হাসি হেসে পোজ দেন চিত্র সাংবাদিকদের সামনে। বহু আগেই তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার বানান জ্ঞানের বহর দেখে চক্ষু চড়কগাছ অনেকের। এবার নিজের ভূগোলের অগাধ জ্ঞানের পরিচয় দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন