আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ১৪৫, শনাক্ত ৫ ৯৯৩

 

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে কোভিড-১৯ মহামারি করোনাভাইরাসে আরও ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ হাজার ২৩ জনে। ফলে ৪ জুলাইয়ের পর মৃত্যু দেড়শর নিচে নামল, সেদিন করোনায় আক্রান্ত ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৯৯৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ২০৩ জনে। এর আগের দিন (১৯ আগস্ট) শনাক্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৫৬৬ জন ও মৃত্যু হয়েছিল ১৫৯ জনের।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৭২৪টি ল্যাবরেটরিতে ৩৪ হাজার ৯২৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৪ হাজার ৮৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯৪৩টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক শূন্য ১৮ শতাংশ। দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। করোনায় মৃত‌্যুর হার ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।

একদিনে ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৫৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

করোনায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব নয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫২ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ২৮ জন, আশির্ধ্ব ১১ জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী ছয়জন মারা গেছেন।

বিভাগীয় হিসেবে করোনায় মৃতদের মধ‌্যে ঢাকা বিভাগের ৫৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ৫ জন, খুলনা বিভাগের ১৫ জন, বরিশাল বিভাগের ৪ জন, সিলেট বিভাগের ৭ জন, রংপুর বিভাগের ৭ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৭ জন।

এস

 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন