আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

অস্ট্রেলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে লকডাউনবিরোধীদের সংঘর্ষ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন শহরে বিক্ষোভ করেছে লকডাউনবিরোধীরা। আজ শনিবার মেলবোর্নে মাস্ক না পরে রাস্তায় বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটেছে। এদিকে, দেশটিতে এক দিনে করোনাভাইরাসের রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউজ ডটকম ডটএইউ জানায়, আজ শনিবার সকালে মেলবোর্নে বিক্ষোভে নামে লকডাউনবিরোধীরা। সিডনিতে মোতায়েন করা হয়েছে দেড় হাজারের বেশি পুলিশ। কিছু কিছু সড়ক অবরুদ্ধ করে যানবাহন চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিডনিতে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, উল্লাস করছে বিক্ষোভকারীরা। মুক্তি চাই বলে স্লোগান দিচ্ছে এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন বস্তু নিক্ষেপ করছে তারা। তবে এ সময় তাদের দমনে মরিচের গুড়া ছিটায় পুলিশ।

অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্র্যাড হ্যাজার্ড বলেন, নিউ সাউথ ওয়েলসে আমরা চরম নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। এখন স্বার্থপরের মতো চিন্তা করার সময় নয়। আপনার পরিবার ও আশপাশের সব মানুষের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।

মেলবোর্নে নতুন করে ৭৭ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হওয়ায় ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রধান ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সাত শ’র অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার সকালে বিক্ষোভকারীদের স্বার্থপর উল্লেখ করে ভিক্টোরিয়া রাজ্য পুলিশ জানায়, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ৬টি আইন লঙ্ঘন করায় নোটিশ জারি করা হয়েছে। ভিক্টোরিয়ায় যেকোনো ধরনের জনসমাগম আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যে গেল এক দিনে ৮৮৬ জনের করোনা ধরা পড়েছে। মারা গেছে অন্তত তিন জন। দুই অঙ্গরাজ্য মিলে গেল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয় ৭৫৪ জন। শনিবার সকালে সেই রেকর্ড ভাঙার তথ্য পাওয়া গেল।

সিডনিতেও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানো ডেলটা ভ্যারিয়্যান্ট মূলত সিডনিতেই শুরুতে দেখা দেয়। ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের প্রকোপ রুখতে নিউ সাউথ ওয়েলসসহ বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

শনিবার নিউ সাউথ ওয়েলসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৫১৬ জন। এদের মধ্যে ৮৫ জন আইসিইউতে রয়েছে। এদের ৭৬ জনই করোনার টিকা দেয়নি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আক্রান্তের পরও লোকসমাগমে চলাফেরা করেছে অঙ্গরাজ্যটির অন্তত ৯৬ জন করোনা রোগী।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন