স্ত্রীর জ্বলন্ত চিতায় স্বামীর ঝাঁপ
এক সময় ভারতীয় হিন্দু সমাজে মৃত স্বামীর জ্বলন্ত চিতায় তার বিধবা স্ত্রীকে জীবন্ত অবস্থায় দাহ করা হতো। যার নাম ছিল সতীদাহ প্রথা। পরবর্তীকালে রাজা রামমোহন রায়ের উদ্যোগে এই নৃশংস প্রথা বন্ধ হয়। কিন্তু মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ভারতের ওড়িশার কালাহান্ডির ঘটনা অনেকটা এমন হলেও দেখা গেল উল্টো চিত্র। ভালবাসার টান বুঝি এমনই। জীবনে-মরণে প্রিয়জনের সঙ্গে থাকাটাই বুঝি একমাত্র চাওয়া। তারই জ্বলন্ত উদাহরণ তৈরি করলেন নীলমনি সবর।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওড়িশার কালাহান্ডির গোলামুন্ডা ব্লকের বাসিন্দা ৫৭ বছরের রায়বতী সবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু স্ত্রীর মৃত্যু একেবারেই মেনে নিতে পারেননি স্বামী নীলমনি সবর। ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। তিনি স্ত্রীকে চিরদিনের মতো হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে ঝাঁপ দেন জ্বলন্ত চিতায়। তাকে মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
কালাহান্ডির এসপি বিবেক সারভানা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ওই নারী মারা গেলে তার স্বামী, চার সন্তান ও আত্মীয়রা লাশ গ্রামের শ্মশানে নিয়ে যান। এরপর শ্মশানের আচার-অনুষ্ঠান পালনের পর লাশ চিতায় তোলা হয়। শ্মশান থেকে সবাই যখন বাড়ি চলে যাচ্ছেন সেই সময় নীলমনি আচমকাই ছুটে গিয়ে চিতায় ঝাঁপ দেন। তাকে উদ্ধার করা হলেও তার শরীরের কিছুটা পুড়ে গেছে।
এস