আর্কাইভ থেকে জাতীয়

আরটিভির ‘হাত বাড়িয়ে দিলাম’ ২০০তম পর্বে

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে আরটিভির নিয়মিত ও জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘হাত বাড়িয়ে দিলাম’ ২০০তম পর্বে পদার্পণ করলো।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রচার শুরু হওয়া পর্বটি ২০০তম পর্বে পদার্পণ করলো।

এ বিষয়ে অনুষ্ঠানটির পরিচালক সৈয়দা মুনিরা ইসলাম বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মাঝেও অটিজম সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা ছিল না। বাবা-মা তাদের অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন সন্তানদের লোকচক্ষুর আড়ালে রেখে দিত, অনেকটা বন্দীজীবন কাটাতে হতো এদের। গ্রামে ও প্রান্তিক অঞ্চলগুলোর পরিস্থিতি ছিল আরো ভয়াবহ। অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তিদের পাগল বলে গণ্য করে দিনের পর দিন তাদের শেকলে বেঁধে রাখা হতো। চিকিৎসার নামে অমানষিক নির্যাতন করা হতো এই মানুষগুলোকে।

এই ঘটনাগুলো আমাদের খুবই পীড়িত করেছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাবেই তৈরি হয়েছে সমাজের এমন অবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি। সমাজের এই অসচেতনতা এবং অজ্ঞতার দায় গণমাধ্যম হিসেবে আমাদেরও রয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর পাশাপাশি অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তিদের নাগরিক অধিকার, চিকিৎসা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করতে হলে সমাজে ও রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে অটিজম সম্পর্কে ব্যাপক-ভিত্তিক ধারণা ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। আর তাই, ২০১৫ সালে অটিজম বিষয়ে সচেতনতামূলক আয়োজন ‘হাত বাড়িয়ে দিলাম’ অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করে আরটিভি।’’

‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে বহুদিন ধরেই দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করে আসছেন। ‘হাত বাড়িয়ে দিলাম’ অনুষ্ঠান পরিকল্পনা এবং সম্প্রচারে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলই অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন।’’

হাত বাড়িয়ে দিলাম’ অনুষ্ঠানটি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যাত্রা শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই দর্শক জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে যায় এবং ইউনিসেফ এর ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করে। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এর শততম পর্ব প্রচারিত হয়।

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন