মিয়ানমারে ধর্মঘটের ডাক
সামরিক অভুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং অং সান সু চিসহ রাজনীতিবিদদের আটকের প্রতিবাদে আজ সোমবার সাধারণ ধর্মঘট এবং আন্দোলনে আরো বেশি মানুষকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির অভ্যুত্থানবিরোধীরা।
এদিকে, অবিলম্বে আন্দোলন বন্ধ না করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনা সরকার। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে তরুণদের সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছে সামরিক কর্তৃপক্ষ।
মিয়ানমারে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠছে নিহত তরুণী মিয়া থোয়ে থোয়ে খাইন। মান্দালয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরো জন নিহতের পর সংঘাত আরও প্রাণ কেড়ে নিতে পারে বলে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ার করেছে কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আরও সেনা মোতায়েন এবং নতুন নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মিয়ানমারে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভ ও আইন অমান্য কর্মসূচি বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে জেনারেলরা।
সোমবারের বিক্ষোভে যোগ দিতে সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ মং সৌংখা। তিনি বলেন, যাদের রোববার রাতে ফেইসবুক পোস্টে তরুণ এ রাজনৈতিক কর্মী লেখেন, বাইরে আসার সাহস নেই তারা ঘরে থাকুন। যেভাবেই হোক আমি বাইরে বের হব। আমি জেনারেশন জেডকে প্রত্যাশা করছি। পার্টনাররা, চল একত্রিত হই।
ইয়াংগনের বাসিন্দারা জানায়, এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের দূতাবাসের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। বিদেশি হস্তক্ষেপ চাওয়া বিক্ষোভকারীদের একত্রিত হওয়ার কেন্দ্র হয়ে উঠছিল কূটনৈতিক মিশনগুলো।
সোমবারের কর্মসূচি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করেছে দেশটির রাষ্ট্র মালিকানাধীন গণমাধ্যম এমআরটিভি।
বিক্ষোভ নিয়ে কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সংযম দেখাচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু দেশ হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে জানিয়ে তাদের তিরস্কারও করা হয়েছে বিবৃতিতে।
এরই মধ্যে ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা অনেক দেশ এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগের সমালোচনা করেছে। মিয়ানমারে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সিঙ্গাপুর, ব্রিটেন ও জার্মানি। মারাত্মক শক্তি প্রয়োগকে অগ্রহণযোগ্য অ্যাখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এসএন