কাশ্মীরে তিনজনকে গুলি করে হত্যা
ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর। অঞ্চলটিতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
কাশ্মীরে তিনজনকে গুলি করে হত্যা
যার মধ্যে আছেন রসায়নবিদ, খাদ্য বিক্রেতা ও একজন ট্যাক্সিচালক। এ ঘটনার পর পুরো অঞ্চলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হামলার কারণ খতিয়ে দেখছে নিরাপত্তা বাহিনী। প্রয়োজনে অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে এ হামলাগুলো ঘটে। এনডিটিভ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শ্রীনগরের ইকবাল পার্কের কাছে নিজের ওষুধ দোকানেই ছিলেন ৭০ বছরের মাখনলাল। হঠাৎই তাকে গুলি করা হয়। দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শহরের হাওয়াল এলাকায় এক স্থানীয় খাবার বিক্রেতাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বীরেন্দর নামে ওই ব্যক্তি ভেলপুরি বিক্রি করতেন।
খাদ্য বিক্রেতার মৃত্যুর কয়েক মিনিটের মধ্যে বন্দিপোরায় আরও এক ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পুলিশ জানিয়েছে, বন্দিপোরা নেদখাই এলাকায় মোহাম্মদ শাফী লোন নামে ওই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়। তিনি স্থানীয় ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সভাপতি ছিলেন।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ। শোক জানিয়েছেন অন্যান্য নেতারাও। এ ঘটনাগুলোর পর তিনটি স্থানেই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এর আগে জম্মু কাশ্মীরে আলাদা তিনটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২ অক্টোবর) রাজধানী শ্রীনগরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত হয়েছিলেন।
প্রথম হামলাটি স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শ্রীনগরের কারানগর এলাকার ব্যস্ততম মদিনা কমপ্লেক্সে প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল।
দ্বিতীয় হামলার ঘটনাটি ঘটে ওইদিন রাত আটটার দিকে। প্রথম হামলার স্থান কারা নগর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাতমালু এলাকার এস. ডি. কলোনিতে আরেক ব্যক্তির ওপর হামলা হয়েছিল।
তৃতীয় হামলাটি ওইদিন স্থানীয় সময় পৌনে সাতটার দিকে জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগ শহরে কেপি রোডে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স-সিআরপিএফ-এর ৪০ ব্যাটেলিয়ন এর বাঙ্কারে একটি গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছিল। তিনটি হামলার ই তদন্ত করা হচ্ছে।