আর্কাইভ থেকে ইউরোপ

প্রাসাদ থেকে বিতাড়িত হলেন প্রিন্স হ্যারি

প্রাসাদ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ব্রিটিশ রাজকুমার প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলকে। রাজপরিবারের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উইন্ডসর এস্টেটে ফ্রগমোর কটেজ থেকে নিজেদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হ্যারিকে। রাজকুমারের বিতর্কিত আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হওয়ার পরেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ডেইলি মেইল’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বিয়ের উপহার হিসাবে নবদম্পতি হ্যারি-মেগানকে এই কটেজ উপহার দিয়েছিলেন তৎকালীন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। কিন্তু বেশিদিন সেখানে থাকেননি তারা। ২০২০ সালে রাজপরিবারের সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি দেন হ্যারি। পাকাপাকিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও ব্রিটেনে নিজেদের কটেজ ছাড়েননি তারা।

প্রিন্স হ্যারি

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই প্রকাশিত হয় হ্যারির আত্মজীবনী স্পেয়ার। রাজপরিবারের রীতিনীতি থেকে শুরু করে তার প্রতি পরিবারের একাংশের দুর্ব্যবহার- সমস্ত কিছু নিয়েই তোপ দাগেন হ্যারি। সাধারণ মানুষের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার।

আর এরপরই রাজা তৃতীয় চার্লস সিদ্ধান্ত নেন, ফ্রগমোর কটেজ থেকে সরিয়ে দিতে হবে হ্যারিকে। এ পদক্ষেপের ফলে ব্রিটেনে আর কোনও বাসস্থান রইল না রাজপরিবারের এ সদস্যের।

জানা গিয়েছে, হ্যারির এ কটেজ এবার দেয়া হবে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে। যৌন কেলেঙ্কারির জেরে ইতিমধ্যেই রাজপরিবারে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন রাজা চার্লসের ভাই। সেই কারণেই ৩০টি ঘরের প্রাসাদ ছেড়ে অপেক্ষাকৃত ছোট কটেজে পাঠিয়ে দেওয়া হবে তাকে। তবে রাজপরিবারের দাবি, খরচ কমিয়ে সাধারণ জীবনযাপনের দিকে জোর দিচ্ছেন সদস্যরা। সেই জন্যই একাধিক কাটছাঁট করছে রাজপরিবার। যদিও এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেও একটি ক্লাবে খোশমেজাজে পার্টি করতে দেখা গিয়েছে হ্যারি-মেগানকে।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন