বৃদ্ধাশ্রমে প্রেম, অতঃপর বিয়ে!
সিনেমার প্রেমকাহিনির চেয়ে কোনও অংশে কম নয় এই প্রেমকাহিনি। বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে থাকতেই একে অন্যের প্রতি ভাল লাগা শুরু। সেখান থেকেই প্রেম, অতঃপর বিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে।
৮০ ছুঁই ছুঁই বাবুরাও পাটিল এবং তার চেয়ে বছর দশেকের ছোট অনুসায়া শিন্ডে থাকতেন কোলাপুরের এক বৃদ্ধাশ্রমে। মন দেয়া- নেয়া হয়েছিল সেখানে থাকতেই। এবার তাদের চার হাত এক হল রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে। সম্প্রতি সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
রক্তের সম্পর্ক বা আগে থেকে চেনাজানা না হলেও বৃদ্ধাশ্রমে একসঙ্গে থাকতে থাকতে নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে বেশির ভাগ আবাসিকের মধ্যে। সেই সম্পর্কের জোরে কেউ হয়ে ওঠেন ‘পাতানো’ ভাই-বোন, কেউ ননদ-ভাজ, কেউ আবার দেবর-ভাবি। কোনও পাট সাদা চুলের প্রৌঢ়ের প্রতি কোনও প্রৌঢ়ার (বা উল্টো দিক থেকেও ভাবা যেতে পারে) একটু-আধটু দুর্বলতা যে তৈরি হয় না, তা-ও নয়। সেই দুর্বলতা বা ভাল লাগা কখনও ভালবাসাতেও পরিণত হয়। কিন্তু সেই সম্পর্ক পরিণতি পাওয়ার মতো ঘটনা কিন্তু বিরল।
ओल्ड एज होम में हुआ प्यार, 75 साल के बुजुर्ग ने 70 साल की बुजुर्ग गर्लफ्रेंड से की शादी
महाराष्ट्र का कोल्हापुर में एक ओल्ड एज होम एक 75 साल से बुजुर्ग को 70 साल की बुजुर्ग महिला से प्यार हो गया.
दोनो ने पूरे रीती रिवाज के साथ शादी की. pic.twitter.com/q7M75ERzu2
— Vivek Gupta (@imvivekgupta) February 27, 2023
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মারাঠি মতে রীতিমতো নিয়ম মেনে শুভদৃষ্টি হচ্ছে ওই দম্পতির। বর-কনের আবাসিক বন্ধুরা তাদের নিয়ে বেশ হাসিঠাট্টাও করছেন। ভিডিও’র পাশাপাশি রয়েছে তাদের মালাবদলের ছবিও।
তুলনায় কমবয়সি দম্পতিদের সম্পর্ক ভাঙার হিড়িকে এমন এক যুগলের চারহাত এক হতে দেখে উচ্ছ্বসিত সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরাও। শুভেচ্ছা এবং তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে এক জন মন্তব্যকারী লিখেছেন, “না বয়সের সীমা আছে, না ভালবাসার।” দ্বিতীয় জনের বক্তব্য, “এই বয়সে মন ছাড়া, দেয়ার আর কী-ই বা থাকতে পারে।” তৃতীয় জনের বক্তব্য, “শরীর নয়, শেষ পর্যন্ত এইটুকুই তো থাকবে।”