আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

গিনিতে শুরু ইবোলোর টিকা কর্মসূচি; গিনি ও কঙ্গোতে নয়জনের মৃত্যু

আফ্রিকার দেশ গিনিতে ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার গিনির গোয়াশ শহরে শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচি। গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়াশ শহরেই প্রথম ইবোলা আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইবোলা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে থাকা সবাইকেই টিকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখ যোদ্ধাদের অগ্রাধিধার দেওয়ার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গিনিতে ২০১৩ সালের চেয়ে এবার ইবোলা পরিস্থিতি ভালো। কারণ বর্তমানে ইবোলার টিকা রয়েছে। আর কীভাবে এই রোগের প্রাদুর্ভাব কমানো যায় তা নিয়ে দক্ষতাও বেড়েছে।

ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে গিনি ও ডিআর কঙ্গোতে এ পর্যন্ত নয়জন মারা গেছে। এ ছাড়া দেশ দুটিতে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ১৪ জন। চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র আফ্রিকা সিডিসি। ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট আফ্রিকান ইউনিয়নের বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবা সংস্থাটি সিডিসি জানায়, এই দুই দেশে ইবোলায় মৃত্যুর হার ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

আফ্রিকা সিডিসি জানায়, সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ডিআর কঙ্গোতে ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে একজন এবং ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নতুন করে কেউ সুস্থ হয়নি। অপরদিকে, গিনির এন’ জারাকোরে নতুন করে তিনজন ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় গিনিসহ পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। ওই সময় মারা যায় ১১ হাজার ৩শ’ জন। আক্রান্ত হয়েছে ২৮ হাজার ৬০০ জনের বেশি।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন