আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কীটনাশক পানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

গাজীপুরের কাশিমপুরে একটি বাসায় স্বামী-স্ত্রী দুজন কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গার্মেন্টস কর্মী  তাসমিন আক্তার লিজা (২২) ও তার স্বামী ফিরোজ হোসেন মণ্ডল (২৫) দু’জনই গার্মেন্টস কর্মী।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) ভোরে অচেতন অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বর্তমানে মৃতদেহ দুটি মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তাদেরকে যারা হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন তারা দাবি করছেন, স্বামী-স্ত্রী দু’জন বাসাতেই কীটনাশক পান করেছেন।

নিহত ফিরোজ নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভোলাগাড়ি গ্রামের ফাসির উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে, আর লিজা নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সবুজ মিয়ার মেয়ে। 

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রান্টু ও রঙ্গিলা দম্পতি জানান, লিজা দম্পতি কাশিমপুর হাজী মার্কেট পুকুরপাড় এলাকায় জাহিদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

রোববার (১৭ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে তারা খবর পান লিজা ও তার স্বামী কীটনাশক পান করেছেন। তখন ওই বাসায় গিয়ে দেখেন তারা দু’জনই কাতরাচ্ছে।

কীটনাশক পানের কথা জানিয়ে লিজা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে দ্রুত সাভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়।

লিজা ও ফিরোজ স্থানীয় একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু মাসখানেক আগে লিজা অসুস্থতার কারণে চাকরি ছেড়ে দেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কী কারণে তারা কীটনাশক পান করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তাদের প্রতিবেশীরা। এই দম্পত্তির কোন সন্তান নেই। 

লিজার মা গেনেদা বেগম জানান, দুই ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে লিজা সবার বড় ছিল। গাজীপুরে একই পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করতেই ফিরোজের সংগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ক ধরেই এক বছর আগে তারা বিয়ে করে। বিয়ের পরে থেকে কাশিমপুরে ভাড়া বাসায় থাকত এই দম্পত্তি। 

মুক্তা মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন