সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে ৫জনের মৃত্যু, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দগ্ধ হয়েছেন আরও ৩০ জন। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের দীর্ঘ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার সুলতান মাহমুদ বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন লাগার খবরে একে একে আমাদের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৫ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ৩০ জনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হতাহতদের অনেকের হাত-পা বিছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। বিস্ফোরণে প্ল্যান্টের দেয়াল ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে আধা কিলোমিটার এলাকায় বাড়িঘর ও অফিস-আদালত কেঁপে ওঠে। বিকট শব্দে অনেক স্থাপনার কাচ ভেঙে যায়। দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে এর ফলে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উড়ে যাওয়া প্ল্যান্টের একটি লোহার টুকরার আঘাতে আধা কিলোমিটার দূরে এক ব্যক্তি নিহত হন। তাঁর নাম মো. শামসুল আলম। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। ফায়ার সার্ভিসের একঘণ্টার চেষ্টায় এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিস্ফোরণ সম্পর্কে এখনই তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিক তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।