মুম্বাইয়ের জেলখানায় দেখা হলো পুত্র আরিয়ানের সংগে শাহরুখ খানের
ভারতের মুম্বাইয়ে আর্থার রোড জেলে মাদক মামলায় বন্দি ছেলে আরিয়ান সেখানে তার সঙ্গে দেখা করলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান।
মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর হাতে আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম ছেলের সঙ্গে জেলে গিয়ে দেখা করলেন শাহরুখ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলে পৌঁছান শাহরুখ খান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীদের একটি দল।
জেলের ভেতর প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন শাহরুখ।
এদিকে ছেলের সঙ্গে তার সাক্ষাতের বিষয়টি গোপনেই সারতে চেয়েছিলেন শাহরুখ। বড় কোন কনভয় বা বড় গাড়ি নিয়ে তিনি আর্থার রোড জেলে যাননি।
তিনি সেখানে যান কালো কাঁচের একটি ছোট গাড়িতে।
তবে তার আসার সংবাদ আগে থেকেই পেয়ে গিয়েছিল কোন কোন সংবাদমাধ্য। যার ফলে তারা আর্থার রোড জেলের মূল ফটকের বাইরে ভিড় করেছিলেন।
উল্লেখ্য এই বিশেষ টাডা আদালতে বিচার হয়েছিল বলিউডের নায়ক সঞ্জয় দত্তের। সেখানে বেশ কিছু দিন বন্দিও ছিলেন তিনি। বন্দি ছিল ২৬/১১ মামলায় অভিযুক্ত পাক জঙ্গি আজমল আমি কসাবও।
জেলের মূল ফটকের সামনে গাড়ির পেছনের আসন থেকে নামেন শাহরুখ। সাধারণ একটি গোল গলা টি-শার্ট এবং জিনসের ট্রাউজার্স পরে আদালতে আসেন তিনি। তার মুখ ঢাকা ছিলো কালো মাস্কে। চোখে কালো রোদচশমাও পরেছিলেন তিনি। দেহরক্ষী পরিবেষ্টিত শাহরুখ দ্রুতপায়ে জেলের ভেতরে চলে যান।
উল্লেখ্য প্রশাসনের অনুমতির ভিত্তিতে সাধারণত এ ধরনের সাক্ষাৎ ৫ থেকে ১০ মিনিটের হয়ে থাকে। সেখানে শাহরুখ জেলের ভেতরে ছিলেন প্রায় ১৫ মিনিট।
বুধবারই জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পুত্রের সঙ্গে তার দেখা করার অনুমতি মিলেছিলো।
আরিয়ানের সঙ্গে দেখা করে জেল থেকে বেরোনোর পর শাহরুখ সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছুই বলেন নি।
প্রসঙ্গক্রমে গেল ২ অক্টোবর একটি প্রমোদতরী থেকে আরিয়ানসহ আটজনকে আটক করা হয়। ৩ তারিখে তাকে মাদক মামলায় সরকারিভাবে গ্রেফতার দেখায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো। এরপর তার আরও অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে ঐ মামলায়।
চলতি মাসের ৩ তারিখ থেকেই আরিয়ানরা মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর হেফাজতে। এর মধ্যে ৮ অক্টোবর আদালতে হাজির করানো হলে আরিয়ানকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে একাধিকবার তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। যে কারণে এখনও জেল বন্দি আরিয়ান।
ছেলেন গ্রেফতারির পর এই প্রথম বাইরে এলেন বাবা শাহরুখ। তবে তিনি এ বিষয়ে কোথাওই কোনো মন্তব্য করেননি।
খবর: এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
মুক্তা মাহমুদ