ডাকসু নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনও হস্তক্ষেপ নেই: কাদের
বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ডাকসু নির্বাচন প্রতিবছরই হয়। এটা করতে না পারা প্রশাসনেরই ব্যর্থতা। এতে আওয়ামী লীগের কোনও হস্তক্ষেপ নেই। বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
হলের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে সবাইকে দাওয়াত না দেয়ায় আয়োজকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি এসব প্রোগ্রামকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে বলেন। এসময় তিনি বলেন, সব জায়গায় রাজনীতি করতে চাই না। কিছু কিছু জায়গা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠান, এটা আমাদের অ্যালামনাইয়ের চরিত্র হওয়া উচিত নয়। বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, এ মন্ত্রীকে এনে প্রধান অতিথি করতে হবে, এর সঙ্গে আমি একদম একমত নই। এখন আমি মহসিন হলের প্রাক্তন আবাসিক ছাত্র হিসেবে আসবো। আমরা আড্ডা দেব, একসঙ্গে খাব, পুরোনো দিনের স্মৃতি স্মৃতিচারণ করব। হাসিখুশিতে সময়টা কাটিয়ে দেব। এটি কোনও পলিটিক্যাল আসন নয়। যারা করছেন প্রথমবারের মতো, পরবর্তী সময় যেন ঠিক থাকে। পরবর্তী সময়ের এ প্রোগ্রাম যেন নন-পলিটিকাল অ্যালামনাই হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় হলের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসসহ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়শনের সদস্যরা।