আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত জয়

২০১৬ সালের ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপে যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকে শুরু করলো ইংল্যান্ড। ২০২১-এ এসে কামব্যাকটা দুর্দান্ত হলো ইংলিশদের। সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এক প্রকার উড়িয়ে দিয়েছে তারা। ৭০ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে ক্যারিবীয়দের হারিয়েছে ইয়ন মরগান বাহিনী।

ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে শুভসূচনা করেন জেসন রয় ও জস বাটলার। তবে হঠাৎ হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। দলীয় ২১ রানে ফিরে যান রয়। এরপর দ্রুত ফেরেন জনি বেয়ারস্টো, মঈন আলি, লিয়াম লিভিংস্টোন। ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ৩৯ রান তুলে ফেলেন ইংলিশরা।
 
পরে কক্ষপথে থেকে অধিনায়ক মরগানকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন বাটলার। তিনি ২২ বলে ৩ চারে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। অপর প্রান্তে ৭ রানে টিকে থাকেন মরগান। উইন্ডিজের হয়ে ২ উককেট নেন আকিল হোসেন।
 
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে তাদের। এরপর কেউই তা রোধ করতে পারেননি।

এভিন লুইস, ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভো, কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেলরা চরমভাবে নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হন। সবাই যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেয়ার প্রতিযোগিতায় নামেন।

গেইল ছাড়া কেউই দুই অংকের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। টি-টোয়েন্টির রাজা করেন ১৩ রান। শেষ পর্যন্ত ১৪.২ ওভারে মাত্র ৫৫ রানে গুটিয়ে যান টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালারা। ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদ ও মঈন আলি মিলেই ক্যারিবীয়দের শিকার করেন ৬ উইকেট।

তবে বেশি ভয়ংকর ছিলেন রশিদ। তিনিই মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। ২.২ ওভারে মাত্র ২ রান নিয়ে ৪ উইকেট ঝুলিতে ভরেন এ লেগ স্পিনার। আর ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট বগলদাবা করেন মঈন।

পোলার্ডদের অলআউট করতে তাদের সঙ্গে ছড়ি ঘোরান পেসার টাইমাল মিলস ও ক্রিস ওকস। প্রথমজন শিকার করেন ২ উইকেট। অপরজন তুলে নেন ১টি।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন