আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম টি-২০ সিরিজ জয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষে ৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। মাত্র ১১৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমেও খুব সহজে আসে নি জয়, ব্যর্থ ছিলেন অধিকাংশ ব্যাটার। একের পর এক ব্যাটারের ব্যর্থের দিনে অবিচল ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

জয়ের দিনে দলীয় ২৭ রানের মধ্যে বিদায় নেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলকে কিছুটা এগিয়ে নিতে শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৭ রান করে রেহানের শিকার হয়ে হৃদয় সাজঘরে ফিরে গেলে ভেঙ্গে যায় সেই জুটি।

এরপর বল হাতে চমক দেখানো মেহেদী মিরাজ ব্যাট হাতেও দেখিয়েছেন চমক। ১৬ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান করে দলকে জয়ের পথ সহজ করে দেন। মিরাজের আউটের পর খালি হাতে সাকিব ও ২ রান করে আফিফ প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে কিছুটা চাপে পরে বাংলাদেশ।

কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত থাকতে যেন কোন ভয় নেই বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে চাপ মুক্ত করেন দলকে। পরের বলে রেহানের মিসফিল্ডে আরও দুইরান এলে মিলে যায় স্বস্তি। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে তাসকিনকে স্ট্রাইক দেন শান্ত। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে টেনে বল বাউন্ডারি ছাড়া করেন তাসকিন। পরের বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে আরেকটি চার, আর তাতেই ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের উল্লাসে মেতলো টাইগাররা!

এর আগে, আজ রোববার (১২ মার্চ) সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানের মাথায় ইংলিশদের প্রথম পতন হয় তাসকিন আহমেদের হাতে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ডেভিড ম্যালানকে ফেরালেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে থার্ডম্যানে তোলা ক্যাচ তালুবন্ধি করতে ভুল করেননি হাসান মাহমুদ।

এরপর নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসেই সফল সাকিব আল হাসান। দলীয় ৫০ রানের মাথায় ২৫ করে ক্রিজে থিতু হওয়া ইংল্যান্ডের আরেক ওপেনার ফিলিপ সল্টকে ফেরান সাকিব। তারপর ক্রিজে আসা ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে টিকতে দেননি হাসান মাহমুদ। নিজের প্রথম ওভারে বাটলারকে ফেরান তিনি। ইংলিশ অধিনায়কের বিদায়ের পর দলে মাত্র ২ রান যোগ হতেই মেহেদি মিরাজের হাতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে বাধ্য হন মঈন আলী।

৫৭ রানে চার উইকেট হারানর পর বেন ডাকেট ও সেম কারান মিলে ইংল্যান্ডকে কিছুটা এগিয়ে নিতে থাকলে আঘাত হানেন মেহদী মিরাজ। ১২ রান করা সাম কারেনকে ফেরানোর পর ক্রিজে আসেন ক্রিশ ওকস। ওভারের পরের বলেই খালি হাতে তাকেও ফিরিয়ে দেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। দুটি উইকেটি পেয়েছেন স্প্যাম্পিং থেকে। এরপর নিজের শেষ ওভার করতে এসে ক্রিস জর্ডানকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন এই অলরাউন্ডার। ৪ উইকেট তুলতে রান খরচ করেছেন মাত্র ১২।

শেষ দিকে এসে ইংল্যান্ডের আর কোন ব্যাটার আর তেমন কোন রান তুলতে পারেনি। মুস্তাফিজের শেষ ওভারে এসে আরও তিন উইকেট ( শেষ দুই বলে দুইটি রান আউট) পরে গেলে ১১৭ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয় ইংলিশ বাহীনি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন