আর্কাইভ থেকে জাতীয়

আমার শক্তি একমাত্র আমার জনগণ : প্রধানমন্ত্রী

এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমার শক্তি একমাত্র আমার জনগণ। আর উপরে আল্লাহ আছেন। আমার বাবার আর্শীবাদের হাত আমার মাথায় আছে। কে কি চাপ দিলো সেটা আসে যায় না। জনগণের স্বার্থে যেটা করার, সেটা আমরা করবো।জনগণের কল্যাণে যে কাজ করার, সেটা করবো। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এরকম বহু চাপ ছিলো।পদ্মা সেতুর আগে তো কম চাপ দেয়া হয়নি। কোন একটি দেশের এ্যাম্বেসেডার থেকে শুর করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের টেলিফোনের পর টেলিফোন। কেন? একজন ভদ্রলোককে এমডি পদে রাখতে হবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বিবৃতি না, এটা একটা বিজ্ঞাপন। যে ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে একজন বিশেষ ব্যক্তির পক্ষে, এর উত্তর কী দেবো, জানি না। আমার একটা প্রশ্ন আছে, যিনি এত নামিদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তারজন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে বিজ্ঞাপন দিতে হবে কেন ? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিরও চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমি বিশ্বাস করি, এটা কেউ কিছু করতে পারবে না। হয়তো সাময়িক কিছু একটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু সেটা মোকাবেলা করবে আমাদের দেশের জনগণই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই প্রথম আইন করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাধীন করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছি। আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ছবিসহ ভোটার তালিকা করে দিয়েছি। এনআইডি যুক্ত করা হয়েছে। ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। আমরা ইভিএমে ভোট করতে চেয়েছিলাম, অনেকে আপত্তি করেছেন। নির্বাচন কমিশন যতটা সম্ভব ইভিএম ব্যবহার করবে। ভোটাররা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ভোট দেবেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে উন্নয়ন হয় তা প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, একটানা ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকার পরিচালনা করেছি। এর মধ্যে দেশে স্থিতিশীলতা রাখতে পেরেছি। এর মধ্যেও কিছু অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। যেহেতু এত দীর্ঘ সময় ছিলাম, বাংলাদেশে ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো কখনো করুণা বা দাক্ষিণ্য চায় না। বরং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ন্যায্য পাওনা চায়।

শেখ হাসিনা বলেন, সফরে করোনা অতিমারি ও চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্পোন্নত দেশগেুলোর জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন