আর্কাইভ থেকে ফুটবল

বুট থেকে আয়ে সবার উপরে নেইমার, ধারেকাছেও নেই মেসি-রোনালদো

ইনজুরির কারণে অধিকাংশ সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয় ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়রকে। মাঠের সঙ্গে নেইমারের দূরত্ব যতই থাকুক, ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তিনি চাহিদার তুঙ্গে। বুটের চুক্তিতে তো ব্রাজিলিয়ান পোস্টার বয়ের ধারেকাছেও নেই কেউ।

নেইমারের সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকির ১৫ বছরের চুক্তি শেষ হয় ২০২০ সালে। এরপর জার্মান প্রতিষ্ঠান পিউমার সঙ্গে তিনি চুক্তি করেন। বর্তমানে পিউমার বুট পায়ে দিয়ে নেইমার বছরে আয় করেন ২ কোটি ৫৯ লাখ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় ২৯০ কোটি। ক্রীড়া ইতিহাসে পৃষ্ঠপোষক কোম্পানির সঙ্গে সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত চুক্তি এটি।  এছাড়াও নেইমারের যদি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেন তাহলে বছরে ৩৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বোনাস পাবেন।

বুটের এই চুক্তিতে নেইমারের ধারেকাছেও নেই মেসি ও রোনালদো। বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির সঙ্গে বুটের আজীবনের চুক্তি করেছে আরেক জার্মান প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। যেখান থেকে তিনি বছরে আয় করেন ২ কোটি ৩ লাখ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় ২২৬ কোটি। অর্থাৎ, নেইমারের থেকে ৬৪ কোটি টাকা কম পান এই আর্জেন্টাইন।

তালিকার তিনে আছেন পর্তুগিজ সুপার স্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। নাইকির সঙ্গে সাবেক এই মাদ্রিদ তারকার চুক্তিও আজীবনের। নাইকির কাছ থেকে সি আর সেভেন বছরে আয় করেন ১ কোটি ৬৯ লাখ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় ১৮৯ কোটি। মানে, নেইমারের চেয়ে ১০১ কোটি টাকা কম রোনালদো।

এরপর আয়ের দিক থেকে অবস্থান হালের অন্যতম সেরা ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্প। ১০ বছরের চুক্তিতে ২০১৯ সালে নাইকির সঙ্গে যুক্ত হবার পর থেকে বছরে তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা হয় ১ কোটি ৫৮ লাখ ইউরো যা বাংলাদেশি হিসেবে ১৭৬ কোটি টাকা। তবে এ মুহূর্তে তালিকার চারে থাকলেও পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর চাহিদা পড়তির দিকে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে না পারলে অথবা রিয়াল মাদ্রিদে যোগ না দিলে এমবাপ্পের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে নাইকি।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন