আর্কাইভ থেকে তথ্য-প্রযুক্তি

চ্যাটজিপিটির রমরমায় চাকরি হারাবেন যারা!

তথ্যপ্রযুক্তির জগতে এখন শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চ্যাটজিপিটি-র জয়জয়কার। নতুন এই প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে পেরেছেন, তাঁরা এর কার্যক্ষমতা দেখে অভিভূত। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ঘিরে বিস্ময়ের ঘোর যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে অজানা এক ভয়। কারণ, এত মানুষের কাজ একা হাতে সামলে ফেলতে পারে যে প্রযুক্তি, সে তো যে কোনও সময়ে যে কোনও কর্মীর জীবিকা ছিনিয়ে নিতে পারে।

এক হাজার ব্যবসায়ী, আমেরিকার বেশির ভাগ সংস্থা তাদের কাজের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে চ্যাটজিপিটি-র ব্যবহার শুরু করেছেন। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ওই সংস্থাগুলিতে চ্যাটজিপিটি আসার পর অনেক কর্মীকে তাঁদের পদ থেকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। আর শুধু আমেরিকাতেই নয়, সারা বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মীরা কাজ হারানোর আশঙ্কায় দিন গুনছেন। কৃত্রিম এই বুদ্ধিমত্তাকে আরও উন্নত করতে সম্প্রতি চ্যাটজিপিটি-র নতুন, উন্নত একটি ‘ভার্শন’ তৈরি করা হয়েছে।

সম্প্রতি এক প্রশান্ত রাঙ্গাস্বামী নামে এক ব্যক্তি কৌতূহলবশত চ্যাটজিপিটি-র কাছে জানতে চান, এই প্রযুক্তির জন্য মানুষ এমন কোন কোন ক্ষেত্র থেকে কাজ হারাতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে কৃত্রিম এই বুদ্ধিমত্তা জানিয়ে দেয় এমন ১৮টি ক্ষেত্রের নাম।

কোন কোন কাজ হারাতে পারে মানুষ?

১) ডেটা এন্ট্রি অপারেটর

২) ক্রেতা পরিষেবা প্রতিনিধি

৩) প্রুফরিডার

৪) প্যারালিগাল

৫) বুককিপার

৬) অনুবাদক

৭) কপিরাইটার

৮) মার্কেট রিসার্চ অ্যানালিস্ট

৯) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

১০) অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্কেডিউলার

১১) ট্রান্সস্ক্রিপশানিস্ট

১২) নিউজ় রিপোর্টার

১৩) ট্রাভেল এজেন্ট

১৪) গৃহশিক্ষক

১৫) টেকনিক্যাল সার্পোট অ্যানালিস্ট

১৬) ইমেল মার্কেটার

১৭) কনটেন্ট মডারেটর

১৮) রিক্রুটার

আরও দ্রুত এবং নির্ভুল ভাবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাদৃত হচ্ছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যেমন গাণিতিক সমাধান, তেমন সাহিত্য জ্ঞান, আবার তেমনই ভাষার দক্ষতা। এমনই ক্ষুরধার সে। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, চ্যাটজিপিটি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন টুইটার-এর সিইও এলন মাস্ক। তিনি বলেন, “মানুষের করার মতো কাজ কিছু পড়ে থাকবে কি?”

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন