আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় অস্ট্রেলিয়ার

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই অস্ট্রেলিয়া প্রমাণ করেছিল তারা এবার শিরোপা জিততেই এসেছে আরব আমিরাতে। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয়ে সে কথারই ধারাবাহিকতা রক্ষা করলো অসিরা। দুই ইনফর্ম দলের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। চলতি বিশ্বকাপে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় জয়।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। অসিদের সাঁড়াসী বোলিংয়ের সামনে ১৫৪ রানে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।

দারুণ শুরুর পরও বড় স্কোর গড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটেই ৭৮ রান তুলে ফেলে তারা। তবে এরপর মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান তুলতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে করেন কুশল পেরেরা ও চারিথ আসালঙ্কা। ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ভানুকা রাজাপাকসে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেয় অস্ট্রেলিয়া। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

সূচনাতেই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি তারা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসালঙ্কাকে নিয়ে ৪৪ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন অপর ওপেনার পেরেরা। কিন্তু পরে দ্রুত ফেরেন আসালঙ্কা, পেরেরা, আভিস্কা ফার্নান্দো ও ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা। শেষদিকে ভানুকা ও অধিনায়ক দাসুন শানাকার ব্যাটে মাঝারি সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এতে নাগালেই শানাকাদের বেঁধে রাখে অজিরা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চের উদ্বোধনী জুটিতে ৭০ রানের পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৭০ রানে বিদায় নেন ফিঞ্চ। অজি অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩৭। এরপর দ্রুত বিদায় নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে দলের প্রয়োজনের সময়ে ছন্দ ফিরে পেয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৫তম ওভারের শেষ বলে ৪২ বলে ৬৫ রান করে যখন ওয়ার্নার বিদায় নেন তখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

বাকি কাজটা সারতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি স্টিভেন স্মিথ ও মার্কাস স্টয়নিসকে। দুই ব্যাটার যথাক্রমে ২৮ ও ১৬ রানে অপরাজিত থেকে, ১৮ বল আগে সাত উইকেটের জয় এনে দেন দলকে।

অনবদ্য বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরা হন জ্যাম্পা।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন