আর্কাইভ থেকে আওয়ামী লীগ

বিএনপি তাদের অবস্থা জানে বলেই নির্বাচনকে ভয় পায় : তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তার অবস্থা জানে বলেই নির্বাচনী ভীতি তাদের পেয়ে বসেছে। এ কারণে তারা নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। বললেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা রিপোর্টিং’ শীর্ষক সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি’- বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে আসলে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। তাদের এ ভীতি অবশ্য স্বাভাবিক। কারণ, ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরবর্তীকালে উপ-নির্বাচনে তারা ৩০টি আসন অতিক্রম করতে পেরেছে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের ঐক্য করে ড. কামাল হোসেন সাহেবের মতো মানুষকে ‘হায়ার’ করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনসহ মাত্র সাতটি আসন পেয়েছিল বিএনপি। বিএনপি নিজেদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানে, নির্বাচনে সাফল্য কতটুকু হতে পারে সেটিও জানে, সে কারণেই তাদের নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নিক। অন্য সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একইভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সরকার হবে চলতি সরকার এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেখানে সরকারি দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

‘আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কথা শুনলে একাত্তরের শান্তি কমিটির কথা মনে হয়’- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, পাকিস্তানপন্থি ছিলেন। স্বাধীনতার পর ফখরুল সাহেবও অনেকদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এজন্য উনার বেশি বেশি শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে। এর বাইরে আর কোনোকিছু নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি করে, হয় নিজেরা মারামারি করে অথবা পুলিশের সঙ্গে মারামারি করে। দেশে যেন শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে সেজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শান্তি সমাবেশ করছি।

এর আগে সেমিনারের বিষয়বস্তু সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে ড. হাছান বলেন, একটা সড়ক দুর্ঘটনা শুধু একজন মানুষকে পঙ্গু বা হত্যা করে তা নয়, পুরো পরিবারকে হত্যা করে, পঙ্গু করে দেয়। এটিকে বন্ধ করার জন্য যানবাহন মালিক, চালক, শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একই সঙ্গে টেলিভিশনগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। রাজনীতি নিয়ে এতো টক শো হয়, সড়ক নিরাপত্তা নিয়েও টক শো হওয়া প্রয়োজন, ভালো রিপোর্টিং হওয়া প্রয়োজন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন