আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রাজউকই ওয়াকওয়ে ও মাঠ বরাদ্দ দিয়েছে : মেয়র আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজউকের নকশায় জনগণের খেলার মাঠ ও ওয়াকওয়ে আছে। কিন্ত বাস্তবে তা নেই। কারণ রাজউকই এগুলো নানান কায়দায় বিভিন্নজনকে বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছে।

শনিবার(৩০শে অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স আয়োজিত "ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্লানিং-২০২১" এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন অভিযোগ করেন। মেয়র বলেন, ঢাকা মহানগরীর প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৪৯ হাজার মানুষ লোক বসবাস করে। ডিএনসিসি বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সার্বজনীন উন্মুক্ত স্থান, বিশেষ করে খেলার মাঠ ও ওয়াকওয়ে খুবই প্রয়োজন।

তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে কল্যাণপুর জলাধারের জন্য নির্ধারিত একশ’৭৩ একর জমির মধ্যে মাত্র ৩ একর জমিতে জলাধার আছে। বাকি একশ’৭০ একর জমিই অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে গেছে। মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে ডিএনসিসি বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এখনো করছে। সবাই মিলে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। এসময় ডেভলপার কোম্পানীসহ সবাই যাতে রাজউক অনুমোদিত নকশা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রাজউকের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

বক্তব্য রাখছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম

করোনা প্রসঙ্গে মেয়র জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতায় অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট "ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল" স্থাপন করা হয়েছে। ওই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চলছে। তিনি বলেন "সবার ঢাকা" মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত যে কোন নাগরিক এলাকার রাস্তা, মশক, সড়ক বাতি, আবর্জনা, জলাবদ্ধতা, পাবলিক টয়লেট, নর্দমা ও অবৈধ স্থাপনা এই আটটি বিষয়ে সরাসরি তার মতামত কিংবা অভিযোগ অতি সহজেই ডিএনসিসির কাছে তুলে ধরতে পারছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে।

কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম । বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন