আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

১৪ বছরের জেল হতে পারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের

অস্ত্র আইনের মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এদিন মামলাটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। পরে বিচারক আগামী ১৩ এপ্রিল আসামির আত্মপক্ষ শুনানির দিন ঠিক করেন।

আইনজীবী এ কে এম সালাউদ্দিন বলেন, অনেক শেষ সময়ে এসেও আসামি আত্মসমর্পণ করেন। আমরা আশা করছি, আরাভ খানও আত্মসমর্পণ করবেন।

তিনি বলেন, মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আশা করছি, আরাভ খানের সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। সেখান থেকে অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৫ সালের ১০ মে আরাভের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান তিনি। পরে আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় একই বছরের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় উলুখোলা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে পুলিশ পরিদর্শক মামুনের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। দেশ থেকে পালিয়ে তিনি প্রথমে ভারতে যান। কলকাতার একটি বস্তিতে কয়েক বছর বসবাস করার পর তিনি আরাভ খান নামে ভুয়া ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে দুবাই চলে যান। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সম্প্রতি বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামে একটি স্বর্ণের দোকানের উদ্বোধন করেন তিনি। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন