আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

বাংলাদেশের আজ মান রক্ষার ম্যাচ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে আজ (৪ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে বিকেল ৪টায়।

স্বপ্নের বৈতরনীতে হাওয়া লাগিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাড়ি জমায় বাংলাদেশ। স্বপ্ন ভঙ্গের শুরুটা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ওমান আর পাপুয়া নিউগিনিকে প্রত্যাশিতভাবে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে উঠে মাহমুদউল্লাহ’র দল। কিন্তু সেখানেও নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭১ রান করেও জিততে পারলো না লাল-সবুজরা। ছিলো ক্যাচ ফেলে দেয়ার মহড়া। এরপর ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয় তাদের। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে অঙ্কের মারপ্যাঁচে টি-টোয়েন্টি’র আসরে টিকে থাকার যে ক্ষীণ আশা ছিলো, তা দুমড়ে মুচড়ে পরে ৮৪ রানে অলআউট হওয়ায়। দৃশ্যমান হয় মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের চাপের সামনে ভেঙে পরার বিষয়টি।

সুপার টুয়েলভে এ নিয়ে টানা চতুর্থ পরাজয় টাইগারদের। মঙ্গলবারের (২ নভেম্বর) ৬ উইকেটের এই হারের মধ্য দিয়ে সব হিসাব চুকিয়ে বিশ্বকাপই বিদায় দিয়ে দিল বাংলাদেশকে। আর তাই আজকের ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।

গেলো আগস্টে মিরপুর শেরে-ই বাংলায় অজিদের বাগে পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে কখনই তাদের হারাতে না পারা স্বাগতিকরা সিরিজ জিতেছিল ৪-১ ব্যবধানে। যদিও সেই দলে ছিলেন না স্টিভেন স্মিথ-ওয়ার্নার-ম্যাক্সওয়েল-ফিঞ্চরা। এবার বিশ্বকাপে স্মিথ ছাড়া বাকি সবাইকে পাবে বাংলাদেশ। যারা টি-টোয়েন্টিতে ভয়ংকর হিসেবে খ্যাত। তবুও আশায় বাঁধে বুক, শেষ ম্যাচটা হয়তো জয়ে রাঙাতে চায় টিম টাইগার।

মিরপুরের মতো হোম কন্ডিশন দুবাইয়ে পাবে না বাংলাদেশ। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অজি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগার সেটাই মনে করিয়ে দিলেন। 'বাংলাদেশের মাটিতে অমন ভিন্ন কন্ডিশনে আমাদের অনেকেই সেবারই প্রথম খেলেছিলো।সেটা ছিল চ্যালেঞ্জিং এবং সত্যি বলতে, ওই কন্ডিশনে তারা (বাংলাদেশ দল) দারুণ খেলেছিলো। তাতে আমরা একটুও অবাক হইনি। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। আমাদের দলটা এখন অনেকটাই ভিন্ন চেহারার। আর ওখানে যে উইকেটে খেলেছি, এখানকার উইকেটগুলোর আচরণ তেমন নয়।'-ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানান অজি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগার।

তবে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ বলেন, 'আমাদের শেষ ম্যাচ। আমি নিশ্চিত ছেলেরা ভালো করবে। পেশাদার হিসেবে আমাদের দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো জরুরি।'

সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ওয়ানে এখন পর্যন্ত ৩ ম্যাচ খেলে দু’টিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকার জন্য জয়ের বিকল্প নেই ফিঞ্চ-ওয়ার্নারদের।

ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অতীতে ৯ বার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচে জয় পায় অজিরা আর চার ম্যাচে জয় বাংলাদেশের। যদিও অতীত সমীকরণ, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ দলের চেয়ে যোজন-যোজন ব্যবধানে এগিয়ে টিম অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য একাদশ:

ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্ক স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, প্যাট কামিন্স, মিসেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:

মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর ‍রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

স্পোর্টস ডেস্ক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন