পরিবহণ ধর্মঘট তবুও নেয়া হচ্ছে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানী ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়।
সাতটি কেন্দ্র হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
পরীক্ষা কমিটির দেয়া তথ্যানুযায়ী, বাণিজ্য ইউনিটের বিভাগগুলোতে সাত কলেজের মোট আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৩১০টি। এরমধ্যে ঢাকা কলেজে ৬০০, ইডেন মহিলা কলেজে এক হাজার ৫৫, সরকারি তিতুমীর কলেজে এক হাজার ৪৬৫, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ৪০০, কবি নজরুল সরকারি কলেজে ৭০০, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ১৩০ ও সরকারি বাঙলা কলেজে ৯৬০ আসন রয়েছে।
কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে পুরো ক্যাম্পাসজুড়েই আসন বিন্যাস করা হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় সবগুলো কলেরজের রোভার স্কাউট গ্রুপ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর প্লাটুন, যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদেরও কাজ করছে।
করোনা পরবর্তী সময়ে এ ভর্তি পরীক্ষা একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, সাতটি কলেজের ভর্তি পরীক্ষার সব বিষয় নিয়েই আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে যদিও গতকাল রাতে কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। আমরা আগেই আমাদের অবস্থান জানিয়েছি যে যেকোনো পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গক্রমে, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয় রাজধানীর ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
এরপর থেকে কলেজগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়ে থাকে। এর আগে প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হতো।
মুক্তা মাহমুদ