আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন : ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সারা দেশে চলছে বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তবে যাদের ব্যক্তিগত বা অফিসের পরিবহন রয়েছে তারা কিছুটা আরামেই গন্তব্যে যেতে পারছেন।

বুধবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। এরপরই শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে পরিবহন মালিকরা তেলের দাম কমানো বা ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেন।

আজ শনিবারও (৬ নভেম্বর)  রাজধানীর প্রতিটি বাস স্টপেজে দেখা গেছে গাড়ির জন্য অপেক্ষমায় থাকা যাত্রীদের ভিড়। গাবতলী, মিরপুর ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীরা।

এদিকে, গণপরিবহন না থাকায় রাজপথেম দাপুটে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা ও বিাইক। তবে তরা ভাড়া নিচ্ছে দেড় থেকে দ্বিগুন বেশি। আবার যাত্রীর তুলনায় এ পরিবহন কম থাকায় পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন চলাচল। আর তাতে কমলাপুর রেলস্টেশনের দিকে ছুটছেন যাত্রীরা। তাই চাপ বেড়েছে কমলাপুরে।

শনিবার (৬ অক্টোবর) ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই স্টেশনের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আগামীকাল রোববার বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ওই বৈঠকে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা না আসা পর্যন্ত পরিবহণ খাতের এ অচলাবস্থার নিরসন হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন