আর্কাইভ থেকে জাতীয়

মালিকদের লুটপাটের সুযোগ দিতে একচেটিয়া ভাড়া বাড়ানো হয়েছে

সরকার বাস-লঞ্চ মালিকদের অধিক হারে মুনাফা লুটপাটের সুযোগ করে দিতে তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী একচেটিয়াভাবে ভাড়া বাড়িয়েছে। বললেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

আজ সোমবার (০৮ নভেম্বর) সকালে নগরীর সেগুনবাগিচা শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে  ভাড়া বৃদ্ধি’র প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব বলেন, বাস ও লঞ্চ মালিকদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে সরকার তাদের চাহিদা অনুযায়ী একচেটিয়া ভাড়া বাড়িয়েছে। ভাড়াবৃদ্ধির আলোচনায় যাত্রী প্রতিনিধিদের রাখা হয়নি। ভাড়া নির্ধারণের ব্যয় বিশ্লেষণে পুরোনো বাসকে নতুন বাস হিসেবে দেখানো হয়েছে।চালক-হেলপারদের বেতন, বোনাস দেওয়ার মিথ্যা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ২০ বছরের পুরোনো বাসেও ব্যাংক লোন দেখানো হয়েছে।

তিনি বলে, এভাবে নানা খাতে অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি দেখিয়ে একলাফে ১.৪২ পয়সার ভাড়া ১.৮০ পয়সা করা হয়েছে। সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণ করলে বড়জোর ১.৬০ পয়সা নির্ধারণ করা যেত।

মোজাম্মেল হক আরও বলেন, যাত্রীর স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে গলাকাটা ভাড়া নির্ধারণের ফলে দেশের নিম্ন ও মধ্য আয়ের জনসাধারণকে আরও একদফা গভীর সংকটে ঠেলে দিয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীতে যেভাবে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তা জুলুম বলা চলে। এখানে সিএনজির মূল্য বৃদ্ধির পর একদফা ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল আবার তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর আবার ভাড়া বাড়ানো হলো। এতে যাত্রী সাধারণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্ধিত বাস ভাড়া কার্যকরের আগে এখানে কি পরিমাণ বাস গ্যাসে চলে আর তেলে চলে তার সুরাহা হওয়া দরকার।

একইসঙ্গে বর্ধিত গণপরিবহন ভাড়া প্রত্যাখ্যান করে একটি ন্যায্য এবং গ্রহণযোগ্য বাস ও লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন