আর্কাইভ থেকে ভর্তি -পরীক্ষা

গুচ্ছ ইস্যুতে হঠাৎ স্থগিত জবির সিন্ডিকেট সভা, কারণ জানেনা কেউ

একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৮ এপ্রিল) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতির অন্যান্য বিষয়গুলো আলোচনা হবার কথা ছিল। তবে আকস্মিকভাবেই স্থগিত করা হয়েছে সভাটি। স্থগিত করার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেনা  সিন্ডিকেটের কেউ। এ নিয়ে তৈরী হয়েছে ধোয়াশা।

 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যার প্রেক্ষিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিসহ তিনটি ইউনিট কমিটিও গঠন করা হয়। সিন্ডিকেট সভায় ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবার কথা ছিল।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফোন করে জানিয়েছেন সিন্ডিকেট সভা স্থগিতের কথা। কেন স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

 

একই কথা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর একজন সিন্ডিকেট সদস্য ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেটের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানকে একাধিকার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন কেটে দেন।

 

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত জাহাঙ্গীর বলেন, উপাচার্য তার ক্ষমতাবলে সভা স্থগিত করতে পারেন। তবে এভাবে সভা স্থগিত করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতি নির্ধারণ পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সেশনজট ও অন্যান্য জটিলতা বাড়তে পারে।

 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ৬৫তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গুচ্ছে থাকার পক্ষে মত দেয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরকে হেনস্তার অভিযোগ উঠে কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

 

তবে অভিযুক্ত শিক্ষকরা বিষয়টি অস্বীকার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের আশঙ্কা ওই ঘটনার প্রেক্ষিতেই ভর্তি সংক্রান্ত চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাচ্ছেন কেউ কেউ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন