রশিদের হ্যাটট্রিকের পর ৫ বলে ৫ ছক্কায় ম্যাচ জিতলো কলকাতা
আইপিএলে দিনের দ্বিতীয় খেলায় গুজরাট টাইটানা গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে কলকাতার দরকার ছিল ২৯ রান। এটা কি সম্ভব? স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে এত দিন যা কেউ দেখেনি, এবার সেটিই করে দেখালেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিংকু সিং।
ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পর যখন জয়ের আশা দেখছিল কলকাতা, তখন রশিদ খান তুলে নেন হ্যাট্রিক। একে একে ফেরান দুই ক্যারিবিয়ান আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারিন ও শার্দূল ঠাকুরকে। এরপর ম্যাচ একরকম হাত থেকে বেড় হয়ে গিয়েছিল কলকাতার।
শেষ ওভারে ইয়াশ দয়ালের প্রথম বলে এক রান নিয়ে রিংকুকে স্ট্রাইক দেন উমেশ যাদব। এরপরেই শুরু তাঁর পাগলাটে ব্যাটিং। বাঁহাতি দয়ালের দ্বিতীয় বলটি করেন অফসাইডে ফুল টস। বলের নিচে ব্যাট পেতে এক্সট্রা কাভার দিয়ে বল সীমানা ছাড়া করেন রিংকু। পরের বলও ছিল ফুল টস। প্যাডে আসা এই বলটি রিংকু ওড়ান ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার দিয়ে মাঠের বাইরে। তখনো তিন বলে ১৬ রান দরকার। দয়াল চতুর্থ বলটিও দিলেন ফুল টস, লং অফ উপর দিয়ে আবারও সীমানার বাইরে বল। সমীকরণ দাঁড়ায় দুই বলে ১০, কলকাতার ডাগআউটে ছড়িয়ে পরে চাঞ্চল্য।
পঞ্চম বলে স্লোয়ার মারেন দয়াল, লেন্থও ছিল কম। রিংকু এবার ছয় মারেন লং অন দিয়ে। শেষ বলে চার হলেই ম্যাচে জয় পাবে কলকাতা। এমন মহুরতে অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল সোজা বোলার মাথার ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠান রিংকু। বল বাউন্ডারি পার হওয়ার আগেই ডাগআউট থেকে বেরিয়ে আসে কলকাতার খেলোয়াড়–কোচিং স্টাফরা। অবিস্মরণীয় এক জয়ের উন্মাদনায় কম্পিত হয়ে যায় নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম।