দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ৬ জন নিহত
দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে দেশের ৮৩৫টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে ভোট চলাকালীন ভোটকেন্দ্রে ঢুকে জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে নরসিংদীর তিনজন, কক্সবাজারে একজন, চট্টগ্রামে একজন ও কুমিল্লায় একজন রয়েছেন। বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীতে নির্বাচনী সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছেন। ভোরের দিকে বাঁশগাড়ী এলাকায় বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। ওই ওয়ার্ডের দুই মেম্বার প্রার্থী শেখ কামাল ও আবু বক্কর ছিদ্দিকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুতু নামে শেখ কামালের এক কর্মী মারা যান। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬-৭ জন।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে দুই ইউপি মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মোহাম্মদ শফি (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কুমিল্লার মেঘনায় ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতদের হামলায় শাওন আহমেদ (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরও চারজন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নের আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
দেশের দশম ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তালিকা থেকে একটি ইউপি বাদ দেওয়া হয়। স্থগিত করা হয় সাতটি ইউপির ভোট। এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচটি ইউপির সবাই নির্বাচিত হন।
দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮১ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৩ জন ও সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ২০৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ইসির যুগ্ম-সচিব এসএম আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
আর