আইসিসি ট্রফি বিজয়ের ২৪ বছর পূর্তি আজ
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঐতিহাসিক স্বর্ণালী দিন। ১৯৯৭ সালের আজকের এই দিনে স্বপ্নীল আইসিসি ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ২৩ বছর পূর্ণ করে সাফল্যের ২৪ বছরে পা দিলো। ওই এক ট্রফি পাল্টে দেয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ। ক্রিকেটে অসংখ্য জয় এসেছে, ধরা দিয়েছে সাফল্য। কিন্তু কুয়ালালামপুরে কেনিয়ার বিপক্ষে জয়টা এখনো সবকিছুকে ছাড়িয়ে মনে করেন সাবেকরা।
কুয়ালালামপুরের তেনাগা স্পোর্টস কমপ্লেক্স, (১২ এপ্রিল) ১৯৯৭। আইসিসি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কেনিয়ান অধিনায়ক মরিস ওদুম্বে। ফাইনালে খেলা দু'দলই ১৯৯৯ আইসিসি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে যাওয়ায়, আপাত দৃষ্টিতে গুরুত্বহীন ছিলো ম্যাচটি। কিন্তু মর্যাদার প্রশ্নে আপোষহীন দু’দল।
একটা ম্যাচ বদলে দিলো দেশের ক্রীড়াঙ্গনের গতিপথ। একটা জয়ে শুরু ক্রিকেট রেনেসাঁর। ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফির ফাইনালের স্মৃতিতে তাই ধুলো জমেনা। অমর, অক্ষয় হয়ে বেঁচে থাকে ক্রিকেটপ্রেমীদের মানসপটে।
ঠিক আগের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে নিশ্চিত হয়েছিল ১৯৯৯ বিশ্বকাপের টিকিট। যে আসরের প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট, প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল সব কেনিয়ার, শুধু ট্রফিটা জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ, সঙ্গে কোটি ভক্তের হৃদয়ে ক্রিকেট নামের উপাখ্যান। নেপথ্যে আছে সীমাহীন ত্যাগ আর অফুরান মানসিক শক্তির গল্প।
আইসিসি ট্রফি জয়ী ক্রিকেটার আতহার আলী খান বলেন, আসলে প্রচন্ড পরিশ্রম করেছিলাম আমরা। প্রচন্ড কষ্ট করেছি, প্রচন্ড ধৈর্য্য ছিল, প্রচন্ড সাহস ছিল এবং প্রচন্ড বিশ্বাস ছিল।
আইসিসি ট্রফি জয়ী ক্রিকেটার নাঈমুর রহমান বলেন, আমার বাবা চিকিৎসার জন্য যান ভারতে। সেখানে ওনার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। আমার খেলায় যাতে ফোকাস থাকে সেজন্য এতবড় একটা জিনিস আমাকে কেউ জানায়নি। আইসিসি ফাইনালের ম্যাচটা ফুটবলকে ছাপিয়ে জনপ্রিয় খেলার আসনের বসিয়েছিল ক্রিকেটকে, এখনো যা অব্যাহত।
আইসিসি ট্রফি জয়ী অধিনায়ক আকরাম খান বলেন, ফুটবল ছাড়া বাংলাদেশে অন্য খেলার তেমন পরিচিতি ছিল না। এখন যেমন হকি বা অন্য খেলা ঠিক ক্রিকেটটাও কিন্তু ওরকম ছিল। কিন্তু আমরা আইসিসি জয়ের পর পুরো ব্যাপারটা টার্ন করে ক্রিকেট নাম্বার ওয়ান স্পট হয়ে যায় বাংলাদেশে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ থেকে ২০২৩। শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে এখন অনেক পরিণত দেশের ক্রিকেট।